বাউল গানের কথা বলছি। এটি বাংলার এক অন্যতম প্রধান লোকসঙ্গীত। ঐতিহ্যবাহী এই গান অধ্যাত্মবাদী বাউলেরা গেয়ে থাকেন। হিন্দু ও মুসলমান সব জাতির মধ্যেই বাউলিয়ানা আছে। বাউল সম্প্রদায় মূলত বৈষ্ণব হিন্দু ও সুফি মুসলিমদের সমন¦য়ে গঠিত একটি বিশেষ শ্রেণী যারা বিশেষ বেশভূষায় থাকেন ও বিশেষ ধরনের গান পরিবেশন করে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের আশা করেন। গেরুয়া, লাল বা সাদা রঙের বিশেষ পোশাক পরিধান করে থাকেন তারা। বাউল সম্প্রদায়ের উৎপত্তি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। লালন ফকির দেশের প্রধান বাউল। তার গান লালনগীতি নামে পরিচিতি পেলেও মূলত তা বাউল গান। এসব গান রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম ও গানকেও যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল। ২০০৫ সালে বাউল গান জাতিসঙ্ঘে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাউলেরা পৃথিবীতে একরকম অর্ধ-সন্ন্যাস জীবনযাপন ও সহজিয়া দর্শনে বিশ্বাস করেন।
বাউল শব্দ ও সম্প্রদায়ের উদ্ভব সুস্পষ্টভাবে জানা যায় না। তবে পঞ্চদশ শতকে বৃন্দাবন দাস ঠাকুর রচিত চৈতন্য ভাগবতে বাউল শব্দের দেখা পাওয়া যায়। আঠারো শতক থেকে বাউল সম্প্রদায় ও বাউল গান ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করতে থাকে। তবে তখনো বাউল গান শুধু মুখে মুখেই রচিত ও গীত হতো। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে তা লিখিতরূপ পেতে শুরু করে। বাউল গান এখন এ দেশের এক অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতধারা। একতারা বাউলদের প্রধান বাদ্যযন্ত্র। শাহ আবদুল করিম, পূর্ণদাস বাউল, তরুণদাস বাউল, কিরণচন্দ্র রায় প্রমুখ অন্যতম বাউলশিল্পী।
ছবি: সংগ্রহ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা