০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তেতাল্লিশ.
‘আংটিটা কেউ উপহার দিলো নাকি?’ জিজ্ঞেস করল ইরিনা।
‘না, কিনে নিয়েছি,’ হেসে জবাব দিলো রেজা। ‘নতুন একটা কেসের সূত্র।’
শীলাকে আসতে দেখা গেল। কাছে এসে বলল, ‘এখানে তোমাদের গাড়িটা দেখলাম। ইরিনাকে দাঁড়াতে বলে আমি তোমাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম। বিকেলে পার্টি আছে আমাদের বাড়িতে। যেয়ো কিন্তু। ভুলো না।’
‘আরে না, তাই কী ভুলি। ইয়েলো বিচের সমস্ত রহস্যের বিনিময়েও তোমাদের পার্টিতে যাওয়া বাদ দেবো না,’ হাসিমুখে বলল সুজা।
‘আমাদের বন্ধুরা অনেকেই থাকবে,’ শীলা বলল। ‘এক কাজ করো না, বাজপাখিটা নিয়ে এসো। আমাদেরকে ওড়ানো শেখাবে।’
‘আনব,’ কথা দিলো রেজা।
‘তিনটা সময় চলে এসো,’ ইরিনা বলল। ‘খেলাধুলা সেরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া।’
‘কী খাওয়াবে?’ জানতে চাইল সুজা।
‘সাগরের মাছের প্রিপারেশন।’
মাছ কিনতে ডকের ধারে এসেছে শীলা ও ইরিনা, এতক্ষণে বোঝা গেল। হাত নেড়ে, দুই গোয়েন্দাকে ‘গুডবাই’ জানিয়ে মাছের দোকানের দিকে চলে গেল ওরা।
বাড়ি ফিরে আংটিটা মিনাফুপুকে দেখাল রেজা। কেনার টাকা কোথায় পেয়েছে, জানাল। ‘টাকাটা নটবর বাগচির কাছ থেকে নিয়ে ব্যাংকে রেখে আসব। আংটিটা আপাতত চাচার আলমারিতে রেখে দেয়া যাক।’
লাঞ্চ সেরে বাজপাখিটাকে গোসল করাল ওরা। কাপড় বদলাল। পাখিটাকে তুলে নিলো। সঙ্গে নিলো পাখির অন্যান্য সরঞ্জাম। তারপর নেডদের বাড়ি রওনা হলো। খামারবাড়িতে পৌঁছে দেখল, অনেকেই হাজির। নেডদের আমেরিকাবাসী আত্মীয়স্বজন আছে তাদের মধ্যে, বন্ধুবান্ধব তো আছেই। বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী, অর্থাৎ রেজা-সুজার বয়েসী। ব্যাডমিন্টন খেলছে কেউ কেউ, বাকিরা দর্শক। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement