২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী----------- কেন কিভাবে

সার্জেন্ট মেজর

-

আজ তোমরা জানবে সার্জেন্ট মেজর সম্পর্কে। এখানে যে সার্জেন্ট মেজরের কথা বলা হচ্ছে তা কিন্তু সেনাবাহিনীর কোনো পদ বা ব্যাপার নয়; এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ। লিখেছেন লোপাশ্্রী আকন্দ

তোমাদের অনেকেই সার্জেন্ট মেজরের সাথে পরিচিত, তাই না ? কোনো কোনো দেশে এটি সেনাবাহিনীর একটি পদ। এখানে যে সার্জেন্ট মেজরের কথা বলা হচ্ছে তা কিন্তু সেনাবাহিনীর কোনো পদ বা ব্যাপার নয়; এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ। এ মাছের দেহে পাঁচটি কালো রেখা রয়েছে। রেখাগুলো অনেকটা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মেজরের পরিচয় চিহ্নের মতো। এ জন্যই এ মাছের নাম সার্জেন্ট মেজর।
সার্জেন্ট মেজরের দেহের পৃষ্ঠীয় অংশের রঙ হলদে বা ধূসর। উদরীয় অংশ সাদা। এদের দেহের গড় দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক দুই থেকে ১৫ দশমিক দুই সেন্টিমিটার। ওজন ২০০ গ্রাম।
পূর্ব আটলান্টিকের মধ্য আটলান্টিক দ্বীপের উপকূল এবং দক্ষিণ কেপভার্দ থেকে অ্যাঙ্গোলা, প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ও অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে সার্জেন্ট মেজর পাওয়া যায়। এরা সমুদ্রের এক থেকে ১৫ মিটার গভীরতায় ঈষৎ লোনা পানিতে বসবাস করে। অনেক সময় এদের সমুদ্র তলদেশের শৈলশ্রেণীতেও দেখা যায়। পূর্ণবয়স্ক সার্জেন্ট মেজর খাবার সংগ্রহের জন্য বিশাল আকারের দল গঠন করে।
তোমরা জেনে হয়তো অবাক হবে এদের দলে মাঝে মধ্যে কয়েকশ’ মাছ দেখা যায়। লার্ভা, জু প্লাংকটন, ছোট মাছ, ক্রাস্টাসিয়ান জীব ও বিভিন্ন ধরনের শৈবাল এদের প্রধান খাবার।
সার্জেন্ট মেজরের প্রজনন কৌশল ভিন্ন ধরনের। এদের নির্দিষ্ট কোনো প্রজনন ঋতু নেই। বছরের যেকোনো সময়ই ডিম দেয়। এরা দেহের বাইরে নিষেক সম্পন্ন করে। অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী মাছ পানিতে স্পার্ম ও ডিম ছাড়ে। পানিতেই নিষেক হয়। স্ত্রী সার্জেন্ট মেজর ডিম ত্যাগ করার পরে ডিম ফোটা পর্যন্ত পুরুষটি ডিম পাহারা দেয়।
সার্জেন্ট মেজর এদের একটি কৌতুককর নাম। তবে এদের আরো একটি মজার নাম রয়েছেÑ ড্যামসেল ফিশ বা কুমারী মাছ। ু

 


আরো সংবাদ



premium cement