০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আ র ব দে শে র লো ক কা হি নী

গরিব ঘরের বিড়াল

-

(গত দিনের পর)

তারপর তার নিজের থালা থেকে একটি- দু’টি হাড় বা গোশতের টুকরো আমাকে ছুড়ে দেয়। আমি খাই। খেয়ে আবার ঘুরঘুর করি। তখন সে এক টুকরো রুটি অথবা এক বাটি দুধ খেতে দেয় আমাকে। খেতে কী যে মজা! আমি বড় তৃপ্তি নিয়ে খাই সেগুলো।
তারপর রোদে গিয়ে গা এলিয়ে শুয়ে থাকি। আরামে কাটিয়ে দেই দিনটা। এভাবেই চলে আমার দিন। তাই চেহারা এমন রাজকীয় আমার। জীবন আমার আহ কতই আরামের!
কুঁড়েঘরের শুকনো বিড়ালটা অবাক হয়ে শোনে। শেষে জানতে চায়Ñ আচ্ছা বন্ধু, গোশত আর রুটি খেতে কেমন? জীবনেও খাইনি কখনো। মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা আর দুধের পায়েস খেতে কেমন লাগে? আমার জিবে যে পানি এসে গেল। চুক চুক চুক।
গরিব বিড়ালটি আবার বলেÑ আমি শুধু জানি পোকামাকড়ের স্বাদ, কচি ঘাসের ডগার তিতকুটে গন্ধ, ভাতের মাড়ের পানসে বিস্বাদ। ভাগ্য ভালো হলে হয়তো ইঁদুরের গন্ধও একটু-আধটু জোটে কপালে। কিন্তু ইঁদুর ধরতে পারি না। ধরতে গেলেই ছুটে গর্তে চলে যায়। তাই গন্ধ শুঁকেই তৃপ্তি পাই।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement