তেইশ.
অঘোরে ঘুমাচ্ছে সুজা। হিংসে হলো ওর ওপর রেজার। কোনো কিছুতেই বিকার নেই সুজার। আর তার নিজের স্নায়ু এত উত্তেজিত হচ্ছে কেন?
চিত হয়ে চোখ বন্ধ করে পড়ে রইল সে। নিজের হৃৎপিণ্ডের ধুড়–স ধুড়–স শব্দ নিজেই শুনতে পাচ্ছে।
তারপর কখন যে আবার লেগে এলো চোখ, বলতে পারবে না।
সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি হয়ে গেল রেজার। সুজাও উঠতে দেরি করেছে। ডেকে ওদের ঘুম ভাঙাননি মনি চাচী কিংবা গেদু চাচা। নাশতা সেরে যার যার কাজে লেগে পড়েছেন তারা।
নাশতার টেবিলে এখন রেজা ও সুজা। দেরিতে নাশতা সারছে।
সুজাকে দুঃস্বপ্নের কথা জানাল রেজা।
ভুরু কুঁচকে রেজার দিকে তাকিয়ে রইল সুজা। তারপর বলল, ‘নাহ, এর একটা বিহিত করতেই হচ্ছে।’
‘কিসের বিহিত করবে? দুঃস্বপ্নের?’
‘না। বাড়িটা রহস্যে ঘেরা। জগন্ময় ধরা পড়লেও আসল রহস্যের সমাধান এখনো হয়নি, বুঝতে পারছি। আর সমাধান না করে এ বাড়ি থেকে এক পা নড়ছি না আমি।’
মিনিটখানেক চুপচাপ খেয়ে গেল সে। তারপর বলল, ‘বেজমেন্টে কী আছে, আমরা এখনো জানি না।’
‘আমি জানি। ঘুরেফিরে রেজার শুধু একটা কথাই মনে আসছে। কোনোভাবেই মন থেকে তাড়াতে পারছে না।’
‘কী?’
‘এমনও তো হতে পারে,’ রেজা বলল, ‘নিজের ছবির প্লটকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে চাইছেন হিরণ কুমার? হয়তো সত্যি সত্যিই তিনি অমর হতে চান।’
চায়ের কাপে চুমুক দিতে যাচ্ছিল সুজা। মুখের কাছে স্থির হয়ে গেল হাতটা। ‘কী বলতে চাও?’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা