১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

একুশ.

ফিরে তাকালেন মনি চাচী। চোখে মিটিমিটি হাসি। ‘এখনো তো দেখইনি। না দেখেই এত পছন্দ হয়ে গেল তোমার?’
‘ছবি তো দেখেছি।’
‘ছবি দেখেছ। নিজের চোখে দেখো, থাকো কিছুদিন ওখানে, তারপর চিন্তা-ভাবনা কোরো, আসলেই কিনতে চাও কি না।’
আন্টির কথা কেমন রহস্যময় লাগল রেজার কাছে। কান খাড়া হয়ে গেল ওর। ‘কেন, কী আছে ও বাড়িতে?’
কী যেন বলতে গিয়েও বললেন না আন্টি। চুপ হয়ে গেলেন।

গাছপালায় ঘেরা বিশাল বাড়িটাকে রীতিমতো একটা দুর্গ মনে হলো রেজার কাছে। আট ফুট উঁচু লোহার গেট। দু’পাশে পাথরে তৈরি সিংহমূর্তি। আগের দিনের জমিদার বাড়িগুলোর এটা যেন একটা রেওয়াজ ছিল। তবে সবাই এ রকম দুর্গের মতো সুরক্ষিত করে বানাত না। বানানোর প্রয়োজন পড়ত না। তার কারণ, সবাই তো পার্বত্য চট্টগ্রামের এ অঞ্চলের মতো বুনো জায়গায় বাস করত না।
আগের দিনে এসব অঞ্চলে চোর-ডাকাত আর জলদস্যুদের আনাগোনা ছিল বাড়াবাড়ি রকমের। বিশেষ করে আরাকান দস্যু। জাহাজে করে আসত ওরা। তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়-জঙ্গল ছিল ওদের জন্য স্বর্গরাজ্য। এখানে আস্তানা গাড়ত। দিনে বনের মধ্যে লুকিয়ে থাকত। রাতে বেরিয়ে ডাকাতি করতে যেত লোকালয়ে। সাগরেও দস্যুতা করে বেড়াত। জেলে নৌকা আর সওদাগরদের জাহাজও আক্রমণ করত ওরা। (চলবে)

 

 


আরো সংবাদ



premium cement