০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চৌত্রিশ.

হেসে উঠল রেজা, ‘তোমাকে তো সার্কাসের ভাঁড়ের মতো লাগছে!’
আয়নায় নিজেকে দেখল সুজা। ঢোলা ফুলানো প্যান্ট, বিরাট সাইজের উলের শার্ট। নিজে নিজেই হাসল। ‘ভাঁড় এর চেয়ে অনেক ভালো।’
‘কিন্তু কাপড়গুলো তো খারাপ না,’ নেড বলল। ‘খারাপ কাপড় দিইনি ওকে।’
‘খারাপ না,’ মিস্টার ব্রাউনও হাসছেন। ‘তবে ওর গায়ে ফিট করছে না। অতিরিক্ত ঢোলা।’
‘হোক ঢোলা, শুকনো তো। ওর এখন গরম কাপড় দরকার।’
ট্রে-তে করে চা আর স্যান্ডউইচ নিয়ে ঘরে ঢুকলেন নেডের আম্মা ও শীলা। খাবার দেখে মাইকেলও আর নিরাসক্ত থাকতে পারল না। স্যান্ডউইচের দিকে হাত বাড়াল। অতিরিক্ত পরিশ্রমে সবারই খিদে পেয়েছে।
ভয়ঙ্কর কুকুরগুলোর হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে সুজা আর নেডকে ধন্যবাদ দিলো রহস্যময় মেয়েটা।
‘আমি আর কী করলাম,’ বলে সুজার দিকে তাকাল নেড। ‘আসল কাজটা তো ও-ই করল। নিজের জীবনের পরোয়া করল না।’
‘তোমরা কি আশপাশেই থাকো?’ নেডের আম্মা জিজ্ঞেস করলেন।
হাসল মেয়েটা। হাসিটা ছড়িয়ে পড়ল কালো চোখের তারায়। ‘থাকি, তবে আমরা এখানকার লোক নই। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে এসেছি। আমার নাম আলিশা স্ট্র্যানস্কি, আর ও মাইকেল কারচাক। আমার বাবা আর চাচার সঙ্গে আপনাদের পাশের বাড়িটাতে থাকি।’
‘গিমলার ম্যানশন!’ চোখ বড় বড় হয়ে গেছে নেডের আম্মার। ‘পুরনো ওই ভূতের বাড়িতে?’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement