০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

নয়.

‘ঠিক,’ সুজা বলল। ‘ওসব জায়গার তুলনায় কেবিনটা পাঁচতারা হোটেল।’
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল জোসি। বন্ধুদের থাকার জায়গা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল সে, বোঝা গেল। জিজ্ঞেস করল, ‘আমার স্লেজটানা কুকুরগুলো দেখবে?’
‘নিশ্চয়ই,’ জবাব দিতে এক মুহূর্ত দেরি করল না সুজা।
কেবিন থেকে বেরিয়ে শহরের সীমানা ধরে এগিয়ে চলল ওরা। এক জায়গায় কতগুলো কেনল চোখে পড়ল। কুকুরের ঘরগুলোর কাছে প্রায় দুই ডজন কুকুর বাঁধা। ওদের দেখে প্রচণ্ড চেঁচামেচি শুরু করল ওগুলো। প্রচুর লাফালাফি আর লেজ নেড়ে স্বাগত জানাল।
‘সবগুলো তোমার কুকুর?’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘হ্যাঁ। এখানে আছে ২১টা। তবে ইডিটারোড রেসে ১২টার বেশি ব্যবহার করব না। হাতে আরো সময় নিয়ে আসা উচিত ছিল তোমাদের। তাহলে রেসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে পারতে।’
‘থাকতে পারলে খুশিই হতাম,’ মাথা ঝাঁকাল রেজা। ‘কিন্তু কী করব, স্কুল খুলে যাবে।’
‘স্কুল কামাই দিয়ে হলেও থাকতে রাজি আছি আমি,’ সুজা বলল। ‘রেসের শেষ দেখতে না পারলে মনে খুঁতখুঁতি থেকে যাবে।’
‘নাহ, রেসের জন্য স্কুল কামাই দেয়া ঠিক হবে না,’ রেজা বলল।
‘বেশির ভাগ দর্শকই রেসের শুরুটা কেবল দেখে,’ জোসি বলল। ‘অনেক লম্বা পথ। অ্যাঙ্কারেজ থেকে নোম পর্যন্ত ১১০০ মাইল। এতখানি তো আর সঙ্গে সঙ্গে যাওয়া সম্ভব নয়।’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement