বাইশগজে ব্যাট হাতে টিকে যাওয়া তামিম ইকবাল কতটা ভয়ংকর, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন বিপিএলে নিজের তৃতীয় শতক, যদিও শেষ পর্যন্ত তা আর পাওয়া হয়নি; ৬১ বলে ৯৫ রান হয়েছে সঙ্গী। শতক মিস করেছেন সতীর্থ শাইহোপও, ৫৫ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ক্যারিবীয়। এই দুজনের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ২ উইকেটে ২১০ রান এসেছে খুলনার স্কোরবোর্ডে।
মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার হয়ে টস করতে আসেননি ইয়াসির আলী, তার বদলে নেতৃত্বের ঝান্ডা দেখা যায় ক্যারিবীয় শাইহোপের হাতে। তবে টসে জেতা হয়নি শাইহোপের, টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে তার দল খুলনা টাইগার্স। ব্যাট করতে নেমে মধ্যমমানের শুরু পায় খুলনা, পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে আসে ৩৭ রান। ৫ বলে ১ রান করে নাসিম শাহের শিকার হন মাহমুদুল হাসান জয়।
সেখানেই যেন থমকে যায় কুমিল্লার উইকেট উদযাপন। দ্বিতীয়বার যখন উইকেট উদযাপনের সুযোগ আসে, ততক্ষণে খেলা শেষ ওভারে গড়িয়েছে। শেষ ওভারের প্রথম বলে মোসাদ্দেকের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। অবশ্য আউট হবার আগে যা করার করে দিয়ে গেছেন এই ব্যাটার, শাইহোপের সাথে গড়ে তুলেছিলেন ১০৭ বলে ১৮৪ রানের জুটি।
যদিও তামিম শুরুটা করেছিলেন দুজনে বেশ ধীর গতিতে, তবে শাইহোপ ব্যাট করেন বেশ সাবলীলভাবে। ৪৫ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করেন তামিম। বিপরীতে মাত্র ২৭ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন শাইহোপ। তবে শেষদিকে এসে দুজনেই খেলতে থাকেন হাতখুলে, মারতে থাকেন জোরেশোরে। বিশেষকরে তানভীর ইসলামের এক ওভারে ২৭ রান নিয়ে নিজের রানের গতিটা বাড়িয়ে নেন তামিম।
একটা সময় মনে হচ্ছিল জোড়া সেঞ্চুরি হয়তো দেখতে যাচ্ছে বিপিএল। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি, এমনকি একক শতকও আসেনি। শেষ ওভারে ১১ চার ৫ ছক্কায় তামিম আউট হন ৬১ বলে ৯৫ রানে। আর শাইহোপ অপরাজিত থাকেন ৫ চার আর ৭ ছক্কায় ৫৫ বলে ৯১ রানে। আর শেষে ৪ বলে ১২ রান আসে আজম খানের ব্যাটে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা