আবিদ আলীর ডাবল সেঞ্চুরি, আজহারের সেঞ্চুরি ও নোমানের ফিফটির ওপর ভর করে হারারে টেস্টে রানের চূড়ায় পাকিস্তান। আট উইকেটে ৫১০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাবর আজম শিবির।
প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ চার উইকেটে ৫২ রান, ওভার ৩০। পাকিস্তান এগিয়ে ৪৫৮ রানে।
প্রথম টেস্ট জেতা পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে অপরাজেয় ইনিংস খেলেন আবিদ আলী। ডাবল সেঞ্চুরি করেও তিনি ছিলেন অপরাজিত। তবে আফসোস স্পিনার নোমান আলী। মাত্র তিন রানের জন্য তিনি পাননি টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
এই টেস্টের আগে আবিদ আলীর সেঞ্চুরি ছিল মাত্র দু’টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ১৭৪ রানের, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এবার জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন পাকিস্তানের এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
২০০ রান করতে আবিদ আলী বল খরচ করেছেন ৩৯৩টি। এর মধ্যে ছিল ২৭টি চারের মার। প্রথম দিন শেষে আবিদ আলী অপরাজিত ছিলেন ১১৮ রানে। দ্বিতীয় দিনে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও আবিদ ছিলেন অটল। ধীরে ধীরে পৌঁছে যান কাঙ্খিত লক্ষ্যে। শুম্বার বলে চার হাকিয়ে স্পর্শ করেন ডাবল সেঞ্চুরি।
শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ২১৫ রানে, ৪০৭ বলের ইনিংসে তিনি হাকান ২৯টি চার। নেই কোন ছক্কা। নোমানের জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল। সেঞ্চুরিটা তিনি পান কি না। ব্যক্তিগত ৯৭ রানে তিনি আউট হন সবাইকে হতাশায় ফেলে। ১০৪ বলের ইনিংসে নোমান হাকান নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা।
পাকিস্তানের হয়ে প্রথম দিন ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন আজহার আলী। সাজিদ খান ২০, রিজওয়ান ২১ রান করেন। বাকিরা ছুতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি তিনটি, চিশোরো দুটি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। কোন রান যোগ না হতেই বিদায় নেন মুসাকান্দা। তাকে এলবির ফাদে ফেলে টেস্টে প্রথম উইকেট শিকার করেন পাক পেসার তাবিশ খান। এরপর ওপেনার কেভিন কাসুজাকে বোল্ড করেন হাসান আলী। ৪৩ বলে ৪ রান করেন কাসুজা।
দলীয় ৪৭ রানে ৪০ রানে বিদায় নেন ব্রেন্ডন টেলর। ১৬ বলে ৯ রান করা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শাহিন শাহর বলে ক্যাচ দেন রিজওয়ানের হাতে। এরপর সাজিদ খানের হামলা। এলডব্লিউ মিল্টন শুম্বা। ২৫ বলে মাত্র দুই রান করে ফেরেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা