পাল্লেকেলে টেস্টে ব্যাটিং দাপটে রান পাহাড়ের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দেড়শোর্ধ ইনিংস ও মুমিনুলের বিদেশে মাটিতে ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন শেষ বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান।
দেশের বাইরে এই নিয়ে সপ্তমবার ৪০০ ছুঁতে পারল বাংলাদেশ, এর তিনবারই শ্রীলঙ্কায়। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৬৩ রানে থামেন শান্ত। দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে মুমিনুল করেন ১২৭ রান। দু’জনের ২৪২ রানের জুটি তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩০২ রান। ১২৬ রানে শান্ত ও ৬৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামেন মুমিনুল হক। আগের দিন বেশ এলোমেলো বল করা লঙ্কান পেসাররা দ্বিতীয় দিনে ছিলেন বেশ গোছানো। শট খেলার সুযোগ খুব বেশি দেননি। শান্ত ও মুমিনুলও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে।
প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৭৬ রান। এই সেশনেই মুমিনুল পা রাখেন শতকে। তার ক্যারিয়ারের যা একাদশ টেস্ট সেঞ্চুরি। দেশের বাইরে প্রথম। ধনাঞ্জয়ার বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্পর্শ করেন তিনি শতক। বল খরচ করেছেন ২২৪টি, চার ছিল নয়টি।
মুমিনুলের ক্যারিয়ারে এটি সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরিও।
মুমিনুলের সেঞ্চুরির পর দেড়শ ছাড়ান নাজমুল হোসেন শান্তও। ১৪৭ রানে দাঁড়িয়ে বাউন্ডারি হাঁকান ধনাঞ্জয়ার বলে। লাঞ্চের পরও দারুণ খেলে দু’জনের জুটি ছাড়িয়ে যায় তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ২৩৬ রানকে।
৮৫ ওভারের বেশি উইকেটে কাটানো এই জুটি শেষ পর্যন্ত থামে শান্ত আউট হওয়ায়। পেসার লাহিরু কুমারার বলটি পিচ করে একটু থেমে আসে, শান্তর ড্রাইভে বল সরাসরি যায় বোলারের হাতে। ৩৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৩ রানে শেষ হয় শান্তর অভিযান।
পরে মুশফিকুর রহিমের সাথে মুমিনুলের জুটিও জমে উঠছিল। তবে দীর্ঘ হয়নি। অফ স্টাম্পের বাইরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ফ্লাইটেড বলে শরীরের একটু দূরে ড্রাইভ খেলেন মুমিনুল। একটু টার্ন করে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। ৩০৪ বলে তার ১২৭ রানের ইনিংসে ছিল চার ১১টি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩০০ বল তিনি খেলতে পারলেন। দলীয় ৪২৪ রানে পড়ে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-লিটনও ছিলেন ছন্দে। মুশফিক একটু ধীর লয়ে থাকলেও লিটন ছিলেন আক্রমণ মেজাজে। ফিফটির কাছাকাছি রয়েছেন মুশি। দ্বিতীয় দিন শেষে তিনি ১০৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে। ৩৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত লিটন দাস।
১৫৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৪৭৪। আলো স্বল্পতায় ম্যাচ বন্ধ অনেক ক্ষণ। দিনের খেলা তখনো বাকি ছিল প্রায় ২৫ ওভার। কিন্তু অপেক্ষায় করেও কাজ হয়নি। উন্নতি হয়নি আলোর। ফলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করার ঘোষণা দেন দুই আম্পায়ার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা