১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


ফাইনালে বাংলাদেশ

- ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারায় বাংলাদেশ। টাইগারদের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন রিচমন্ড মুতুম্বামি।

এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে মাহমুদুল্লাহর ৪১ বলে ৬২ ও লিটন দাসের ২২ বলে ৩৮ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।

দুদলের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় সফরকারী দলের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। জুটিতে ৪৯ রান করলে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শান্তর। ৯ বলে ১১ রান করে কাইলি জার্ভিসের বলে তার হাতেই তালুবন্দী হয়ে সাহঘরে ফেরেন।

৫৫ রানের মাথায় লিটনও এমপুফুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাদজিভার হাতের খাচায় বন্দি হন। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে দু্ই ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করেন তিনি।

৬৫ রানের মাথায় ১০ রান করে সাকিব ফিরে যান রায়ান বুর্লের শিকার হয়ে। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগার দল।

সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক জুটি সেই চাপ সামলিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে ২৬ বলে এক ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে মুতম্বদজির বলে উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেলরের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।

ব্যাট করতে নেমে ৮ বলে ৭ রান করেন এমপুফুর দ্বিতীয় শিকার হন আফিফ হোসেন। মোসাদ্দেক ২ এবং ৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন।

মাহমুদুল্লাহ ৪১ বল মোকাবেলা ১ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন ৬২ রানের ইনিংস । 

জিম্বাবুয়ের কাইল জার্ভিস ৩২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

বাংলাদেশের দেয়া বড় ১৭৬ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধস নেমেছে সফকারীদের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নেমেছে তাদের।

প্রথম ওভারে জিম্বাবুয়ের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শূণ্য রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে ফিরে যান রেগিস চাকাবা। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে মাসাকাজা বাহিনী। পরপর দুই ব্যাটসম্যান শুরুতে ফিরে যাওয়ার চাপ সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন দলপতি হ্যামিলটন মাসাকাজা ও শন উইলিয়ামশন। এরমধ্যে দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ উইলিয়ামসন। অভিজ্ঞ বোলার শফিউলে বলে ফিরের তিনিও। তার ব্যাট থেকে আসে ২। মুতম্বদজিকে ১১ রানে ফিরিয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয় বলে উইকেট তুলে নেন লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম। এরপর বিপজ্জনক রায়ান বুর্লকে ১ রানে ফিরিয়ে শফিউল তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় শিকার। ২৫ রানের মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে আমিনুল তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।

এই লেগ স্পিনারের শেষ ওভারে নেভিল মাদজিভা ৯ রান করে সাকিবের থ্রো থেকে মুশফিকের কাছে রান আউট হন।

৬৬ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয় হারের ব্যবধান কমাতে থাকে রিচমন্ড মুতুম্বামির ব্যাটিং ঝড়ে। তার সঙ্গে জার্ভিসের জুটি ৩০ বলে পঞ্চাশ রান স্পর্শ করে। তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩০ বলে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন মুতুম্বামি। ১৯তম ওভারে তাকে থামান শফিউল। নিজের শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের ইনিংস সেরা পারফর্মারকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচ বানান এই পেসার। ৩২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে ৫৪ রান করেন মুতুম্বামি। জার্ভিসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৮ রানের।

ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ২৭ রানে জার্ভিসকে ফেরান। বদলি ফিল্ডার সাব্বির রহমানের ক্যাচ হন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান। তাতে টি-টোয়েন্টির ৫০তম উইকেট পান বাঁহাতি পেসার। শেষ ওভারে আইন্সলি এনলোভুকে (২) বোল্ড করে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করেন মোস্তাফিজ।

শফিউল তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন, ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর অভিষিক্ত লে


আরো সংবাদ



premium cement