ইয়েস টু সাবধানে অনলাইনে ট্রেনিং সেশন

সম্প্রতি টিকটক জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগ, ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের ঘোষণা করে। বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট সামিট (ইয়েস) ২০২৪’ শীর্ষক সামিটে এই ঘোষণাটি দেয়া হয়। অনলাইন নিরাপত্তা এবং দায়িত্বশীলভাবে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাদেশের তরুণদের শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগটি শুরু হয়।
এবারের ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট সামিটের মূল আকর্ষণগুলোর একটি ছিল টিকটক এবং জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে সাজানো ‘ইয়েস টু সাবধানে অনলাইনে’ নামে ট্রেনিং সেশন। ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসকে’ সামনে রেখে আয়োজিত এই সেশনের লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম ও আলোচনার মাধ্যমে ইন্টারনেট নিরাপত্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে যুবকদের সচেতন করে তোলা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জাগো ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক যুব সংগঠন ‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ’-এর ৫০০ জন যুবনেতা এই সেশনে অংশগ্রহণ করেন। একজন বিশেষজ্ঞের প্রশিক্ষকের নেতৃত্বে সেশনটি নিরাপদ ইন্টারনেট অনুশীলন ও টিকটকের সেফটি টুলগুলোর ব্যবহারসহ ডিজিটাল সুরক্ষার বিভিন্ন দিক বর্ণনা করা হয়। বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকের সাথে মঞ্চে একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার যোগদান করেছিলেন। সেশনটির মাধ্যমে এই দু’জন বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারীদের অনলাইনের নিরাপদ অভিজ্ঞতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ ছাড়া, সামিটে অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি ভিডিও কনটেন্ট তৈরির প্রতিযোগিতা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেরা তিনজন কনটেন্ট নির্মাতাকে অধিবেশন চলাকালীন বিজয়ী ঘোষণা ও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
গত দুই বছর ধরে, টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ‘সাবধানে অনলাইনে’ নামে একটি প্রচারাভিযান পরিচালনা করে আসছে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের যুবকদের অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষিত করা। যুবকদের মধ্যে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বিকশিত ডিজিটাল জগত ও এর প্রতিবন্ধকতা এবং হুমকিগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে, এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণ ও অনুশীলন সম্পর্কে অপরিহার্য সচেতনতা গড়ে তোলাই এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর যুব সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার মধ্যে কনটেন্ট তৈরির ইতিবাচক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য যুবকদের শিক্ষিত করে তোলাও এর উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যে ক্যাম্পেইনটি ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ৩৪টি জেলায় অফলাইন কার্যক্রম চালিয়েছে এবং সেই সাথে অনলাইনে প্রচুর কার্যক্রম চালিয়েছে।