২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সার আমদানিতে অনিশ্চয়তা

সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হবে

-

দেশে ডলারের অভাবে আমদানিতে সঙ্কোচন চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। বিলাসদ্রব্যের আমদানি বন্ধ, এমনকি শিল্প খাতের অতিপ্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি আনাও প্রায় বন্ধ। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে ডলারের জোগান না থাকায় সারের মতো অপরিহার্য পণ্য আমদানিতেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। একই কারণে সার উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। ডলার নেই, তাই গ্যাস আসছে না। সার তৈরিতে গ্যাস লাগে।
গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস না পাওয়ায় ইউরিয়া উৎপাদনকারী যমুনা সারকারখানা প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ। উৎপাদন হচ্ছে না। এটি কবে চালু হবে তাও বলতে পারেননি কর্মকর্তারা। অন্য তিনটি কারখানা চালু থাকলেও গ্যাস না পাওয়ায় খুঁড়িয়ে চলছে। উৎপাদন হচ্ছে সক্ষমতার সামান্য অংশ। এদিকে বিসিআইসি সার আমদানির জন্য ঋণপত্র বা এলসি খুলতে পারছে না। তাদের এলসির অনুমোদন দিচ্ছে না অগ্রণী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক। কারণ, ব্যাংকের আগের বকেয়া পরিশোধ করেনি বিসিআইসি ও তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। ডলার ও গ্যাস সঙ্কটের ধাক্কা এসে পড়েছে সারের ওপর।
পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী বোরো মৌসুমে কৃষকরা সময়মতো ইউরিয়া পাবেন না। এতে ধস নামবে ধানের ফলনে। খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা পড়তে পারে হুমকিতে।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে চাষাবাদের ক্ষেত্রে সার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেই সারের চাহিদা মেটানো হয় প্রধানত আমদানির মাধ্যমে। অর্থনীতির নাজুক অবস্থায় এবার জটিলতা দেখা দিয়েছে সারের সম্ভাব্য জোগান নিয়ে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিটুজি চুক্তির আওতায় ৯ লাখ টন আর কাফকো বাংলাদেশ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টন ইউরিয়া সার আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিসিআইসি। দেশে আমন মৌসুমে দরকার হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ টন ইউরিয়ার। এরপর সবচেয়ে বড় ফসল বোরোর মৌসুমে চাহিদা থাকে মোট সার সরবরাহের ৬০ শতাংশের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সার ও জ্বালানি আমদানিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ডলার দেয়া হচ্ছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রয়োজনে উদ্যোগ নেয়া হবে। আমরা জানি, এমন একটি উদ্যোগ সরকারের আছে। ব্যাংকের কাছে বিসিসিআইয়ের বকেয়া আংশিক পরিশোধ করা হচ্ছে বিশেষ বন্ডের মাধ্যমে। একই কাজ করা হচ্ছে জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধেও।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশের কোনো এলাকায় সারের সঙ্কট দেখা দেয়নি। কিন্তু সঙ্কট দেখা দেয়ার প্রশ্ন নয়, সঙ্কট যাতে না হয় সেটি আলোচ্য। এ মুহূর্তে দেশে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ রীতিমতো উদ্বেগজনক। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি সরকার। রিজার্ভ বৃদ্ধির দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধিও হতাশাজনক। টাকশালে টাকা ছাপিয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
কিন্তু সার আমদানির বিকল্প নেই। সারের চাহিদা যেকোনো মূল্যে পূরণ করতে হবে। কারণ, খাদ্য নিরাপত্তা কোনোভাবে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া যাবে না। এটি যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিলো ভারত নোয়াখালীতে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে ঝাড়-মিছিল ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারে হাউছিদের সরাসরি হামলা গাজা নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিরসরাই প্রেস ক্লাবের নতুন সভাপতি মিঠু, সম্পাদক মাঈন আইসিসির সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে প্রভাবিত করবে না : নেতানিয়াহু শনিবার বন্ধই থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয় মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে ডাসারে শিশু খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের শরবত বিতরণ কর্মসূচি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শতাধিক স্পটে জামায়াতের খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

সকল