২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভ্যাট জটিলতায় আন্দোলনে নামবে আইএসপিএবি

-

দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খাতে ৫ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাটের জটিলতা নিরসন না হলে তারা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনে নামবেন। জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়টি সমাধান না হলে বা আশ্বাস না পেলে সদস্যদের সাথে আলোচনা করে আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক করা হবে। সেখানে আগস্টের শুরুতে প্রথম সপ্তাহে এক ঘণ্টার জন্য এবং পরের সপ্তাহগুলোতে আনুপাতিক হারে বেশি সময় করে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা কর্মসূচি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল হাকিম। ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন। ইমদাদুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁঁকি মোকাবেলা করা ছাড়াও বিল আদায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। তবুও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। ভ্যাটের জটিলতা ছাড়াও আইএলডিসি, আইআইজি এবং আইএসপি খাতকে আইটিইএস ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি। বিষয়টি নিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন, এনবিআর ও অর্থমন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল হাকিম আরো জানান, গত অর্থবছরে ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারিত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা খাতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, এই জটিলতা নিরসনে তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে একটি সভা হয়। সভার আলোচনায় ইন্টারনেটের প্রতিটি স্তরে (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। পরে সে অনুযায়ী ইন্টারনেটের প্রতিটি স্তরে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। কিন্তু এর কয়েক মাসের ব্যবধানে চলতি অর্থবছরের বাজেটে পুনরায় ইন্টারনেট সেবায় ............ শতাংশ ভ্যাট এবং অন্যান্য স্তরে
(আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় সাবেক অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমাধান করা বিষয়টিতে আবারো আগের জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ছে। এভাবে ভ্যাট আরোপকে বৈষম্যমূলক এবং মূসক আইনের পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সংগঠনটির প্রস্তাব ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ অথবা শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই জটিলতার সমাধান হবে।


আরো সংবাদ



premium cement