০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভারত থেকে ৩ দিনে দেশে ফিরলেন ১৫ হাজার পর্যটক

-

ছুটি শেষে ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারী পর্যটকরা। এতে বেনাপোল বন্দরে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সাথে ঈদ করতে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৪২২ পর্যটক দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ১৬ এপ্রিল ৪৯১০ জন, ১৭ এপ্রিল ৫৩৬৩ জন এবং ১৮ এপ্রিল ৫১৪৯ জন পর্যটক দেশে ফিরেছেন।
জানা যায়, এবার ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সাথে তাল মিলিয়ে বন্ধ রেখেছিল। ফলে লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সাথে ঈদ করতে অনেকে গিয়েছিলেন ভারতে। আবার অনেকে ভারত থেকে ফিরে আসছেন। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বন্দরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের নিরাপত্তা কর্মীরা।
ভারত থেকে ফিরে আসা সুভাষ মাস্টার জানান, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। ভারতের পেট্রাপোলে ভিড়ের কারণে ইমিগ্রেশন সারতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পর্যাপ্ত ডেস্ক থাকলেও অফিসার কম থাকায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ভারত ফেরত মোজাফফর হোসেন বলেন, এবার টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য পরিবারের সাথে ভারত গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হওয়ায় দেশে ফিরতে হয়েছে। তবে গতকাল ফিরে আসার সময় বেনাপোলের বিপরীতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। ডেস্কে মাত্র তিনজন অফিসার কাজ করছেন।
এদিকে ভারত ফেরত অধিকাংশ পর্যটকের অভিযোগ, দূরপাল্লার বাসে সিট সঙ্কটের কথা বলে ভাড়া বেশি আদায় করছে পরিবহন কাউন্টারগুলো। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া পরিবহন ভেদে জনপ্রতি নন- এসি ৫৫০-৭৫০ টাকা ও এসি ১০০০-১২০০ টাকা হলেও কিছু কিছু পরিবহন এখন নন-এসি ৮০০ টাকা ও এসি ১৫০০-২০০০ টাকা নিচ্ছে।

ফেরার পথে পকেটে টাকা কম থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে তাদের।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেন। এতে ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় দেড় শ' কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ৪০ কোটি টাকা আয় হয়। সে হিসেবে সেবার মান একেবারে বাড়েনি।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার বাংলাদেশী পর্যটক ভারতে যান। ছুটি শেষ হওয়ায় ভারত ফেরত পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। যাত্রীরা পাসপোর্টের কার্যক্রম যাতে নির্বিঘ্নে শেষ করতে পারেন সেজন্য বন্দরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন দিনে ১৫ হাজার ৪২২ জন পাসপোর্টধারী দেশে ফিরেছেন। ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটি থাকায় মানুষ ঘুরতে ও চিকিৎসার জন্য ভারত যান। নির্বিঘ্নে দ্রন্ত পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে ডেস্ক অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement