৫ বছর ধরে চলছে কুমিল্লা-নোয়াখালী ফোর লেনের কাজ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
আটকে আছে লাকসাম ও বাগমারা বাজার অংশ- হাবিবুর রহমান চৌধুরী কুমিল্লা
- ১৬ মে ২০২২, ০০:০০
প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে আটকে যায় যানবাহন। গ্রীষ্মে ধুলায় ধূসর চারপাশ। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার যাত্রীরা। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এলেও বাকি রয়েছে কুমিল্লার লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস এলাকা ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার এলাকার ফোরলেনের কাজ। এখানে প্রতিনিয়ত যানজটে আটকা পড়ছে মানুষ। এই এলাকায় কবে বাইপাস হবে তারও ঠিক নেই। জায়গা অধিগ্রহণ ও উচ্ছেদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই দুই বছর পার হয়ে গেছে। যাত্রী ও পরিবহন চালকরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেনের কাজ চলছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট, যানজট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। ভোগান্তিতে বিরক্ত যাত্রীরা। বেশি খারাপ অবস্থা হরিশ্চর থেকে শানিচৌ হয়ে আলীশ^র অংশে। থেমে আছে লাকসামের চন্দনা বাজার এলাকার কাজ। এ ছাড়া জাঙ্গালিয়া ও টমছম ব্রিজ অংশে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। এদিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার। এখানেই বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে পাঁচ ঘণ্টা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। পরবর্তীতে চলতি বছরের জুনে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে যে গতিতে কাজ চলতে এতে আগামী বছরও কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা আজাদ বলেন, ফোরলেনের নোয়াখালী অংশে মহাসড়কের পাশে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই সেখানে কাজের গতি এসেছে। লাকসাম ও বাগমারা অংশেও এমন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নতুবা এখানে যেভাবে গাড়ি আটকে থাকে তেমনি ফোরলেন প্রকল্পও যানজটে আটকে থাকবে।
ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ও বাগমারা বাজারে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরাসহ পরিবহন মালিক, যাত্রী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উপকূল বাসসার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ জানান, যানজটের কারণে যাত্রীরা বিরক্ত। এতে যাত্রী কমে গেছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ এই সড়কে যাতায়াত করতে চান না। দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ না হলে আরো দুর্ভোগ বাড়বে।
কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, বাগমারা এলাকায় অর্থমন্ত্রী ও লাকসামে মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বাড়ি। তাদের সুদৃষ্টি পড়লে দ্রুত কাজ শেষ হবে। এতে চালক, যাত্রী সবার দুর্ভোগ কমবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমাদের কুমিল্লা শহর অংশের কাজ জুনের মধ্যে শেষ হবে। মোট কাজের ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। লাকসাম বাজার ও বাগমারা বাজার অংশের কাজ আটকে আছে। বাগমারায় ১.৮ কিলোমিটার এলাকা সার্ভে করা হয়েছে। এখানে বাইপাস না ওভারপাস হবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর বলা যাবে। লাকসামে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বাইপাস করতে হবে। সেটি ফয়েজগঞ্জ থেকে ভাটিয়াভিটায় গিয়ে মিলিত হবে। এর মধ্যে রেললাইন ক্রস করতে হবে। রেললাইনের ওপর ওভারপাস করা হবে। সেটির কাজ কবে শুরু ও শেষ হবে তা তিনি জানাতে পারেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা