‘বাংলাদেশের ঐতিহ্য-বাংলাদেশের ব্রান্ডিং আম, জামদানি এবং ইলিশ। আমকে গতানুগতিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ না রেখে বিজ্ঞানসম্মত উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আমাদের সন্তানরা প্রাকৃতিক ফল হিসেবে আমের জুস না খেয়ে ঝুঁকে পড়ছে ক্ষতিকর কোমল পানীয়ের দিকে। অথচ আমে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলস। এ নিয়ে শিশুদের সচেতন করতে হবে। আম বাগানে ক্ষতিকর কীটনাশকের স্প্রের প্রতিরোধ পুলিশ দিয়ে সম্ভব নয়। প্রয়োজন সিসি টিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের ব্যবহার। বৈজ্ঞানিক নজরদারি দিয়ে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়া দিয়ে উন্নত করতে হবে আম উৎপাদন ও বিপণনকে। বিজ্ঞান জাদুঘর শুধু বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী কেন্দ্র নয়, এটি জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণার অনন্য কেন্দ্র হিসেবে উদ্ভাসিত হতে চায়। গতকাল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আয়োজিত বাংলাদেশে আম উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সমস্যা ও বৈজ্ঞানিক সমাধান শীর্ষক এক সেমিনারে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এ বক্তব্য প্রদান করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশ্বব্যাংক ও জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরামর্শক ড. মো: সালেহ আহমেদ। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং বাংলদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. মো: আবদুল আলীম এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির পরিচালক ড. আবদুল মাজেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মো: সালেহ আহমেদ বলেন, ‘একজন আমচাষি বারী-১১ জাতের ২০০টি বড় গাছ থেকে আম এবং ১০ হাজারটি চারা বিক্রয় করে ৬২ লাখ টাকা আয় করেন। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা আম উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে পারি। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া গবেষণা করে আম চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিজ্ঞানের পাশাপাশি অনুকূল নীতিমালারও প্রয়োজন রয়েছে। ড. মো: সোহেল আলবেরুনীর সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত এ সেমিনারে জেলা প্রশাসন নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি।