২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিআইপির সংলাপে অভিমত

জনসাধারণের অংশগ্রহণ বাড়াতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাংলায় হওয়া উচিত

-

দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনসাধারণের অংশগ্রহণ বাড়াতে পরিকল্পনা দলিল বাংলা ভাষায় হওয়া উচিত বলে মনে করেন পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলেন, ইংরেজি ভাষায় রচিত পরিকল্পনা দলিল সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য না হওয়ায় তারা এতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে পারে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) উদ্যোগে ‘নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনায় বাংলা ভাষা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল পরিকল্পনা সংলাপে নগর পরিকল্পনাবিদরা এ কথা বলেন। এ সময় বিআইপি প্রকাশিত ‘পরিকল্পনা পরিভাষা’ গ্রন্থের ডিজিটাল ভার্সন প্রকাশ করা হয়।
বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন, বিআইপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম আবুল কালাম, সহসভাপতি মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল কবির, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল আলম, রাজউকের ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক মো: আশরাফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক এ টি এম শাহজাহান, পরিকল্পনাবিদ নেয়াজ রহমান, শাহরিয়ার আমিন, মো: মঈনুল ইসলাম, মেহেদী আহসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মো: মইনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নগর পরিকল্পনাবিদ তাহেরা খাতুন, পরিকল্পনাবিদ মুরাদ বিল্লাহ প্রমুখ। অধ্যাপক ড. এ কে এম আবুল কালাম বলেন, বাংলা ভাষার ব্যবহারকে সমৃদ্ধ করতে পরিকল্পনায় বাংলার চর্চাকে বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি পেশাজীবী এবং গবেষকদের অনুরোধ করেন পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন শব্দ সংগ্রহ করতে যেটা পরবর্তীতে পরিকল্পনা পরিভাষা গ্রন্থে সংযোজনের মাধ্যমে পরিকল্পনা পরিভাষা গ্রন্থকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, পরিকল্পনা অনুশীলনে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন করে কাজ করে আসছে বিআইপি। পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বই বিআইপির উদ্যোগে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যা সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে। পরিকল্পনা পেশাকে সার্বজনীন করতে পরিকল্পনায় বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও অনুশীলন নিশ্চিত করতে সামনের দিনগুলোতেও বিআইপি কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পরিকল্পনাকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনায় বাংলা ভাষার ব্যবহারের পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে। ইতোমধ্যে বেশকিছু পরিকল্পনার দলিল বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হয়েছে, এছাড়াও পরিকল্পনার ভাষা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পরিকল্পনার বিভিন্ন পরিভাষার প্রমিত চর্চা অনুসরণ করা প্রয়োজন। পরিকল্পনাবিদ নেয়াজ রহমান বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা বৃহৎ থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সবার কাছে পৌঁছানোর জন্য বাংলা ভাষার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি ভাষার পরিকল্পনা দলিল সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য না হওয়ায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বাংলায় প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনাবিদ শাহরিয়ার আমিন বলেন, পরিকল্পনার দলিলগুলো তৃণমূল পর্যন্ত উপস্থাপন করতে হয়, সেক্ষেত্রে তাদের কাছে ইংরেজি ভাষা বোধগম্য হয় না।


আরো সংবাদ



premium cement