ফেরত দেয়া হবে অনির্বাচিতদের আবেদনের টাকা

অবশেষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়া শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি ফেরত দেয়া হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষা নেয়ার জন্য এ বছর দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাথমিক বাছাইয়ের ফলে আবেদন ফি দিয়েও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাননি আবেদন করা ভর্তি ইচ্ছুক অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক ও প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ইস্যুতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে সব আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে অথবা অনির্বাচিত শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি কমিটি অবশেষে প্রাথমিক বাছাইয়ে পরীক্ষায় বসার সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের আবেদনের টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়া আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। অনলাইন বাছাইপ্রক্রিয়া ও ব্যাংক চার্জ বাবদ আংশিক খরচের টাকা রেখে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেয়া হবে। সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রমের ওয়েবসাইটেও এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আসন সংখ্যার ১০ গুণ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ছাড়া মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭ থাকলে আবেদন করতে পারতেন পরীক্ষার্থীরা। আবেদন ফি নির্ধারিত ছিল এক হাজার টাকা। আবেদনকারী ৭৪ হাজার ৪৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৩৮ হাজার ৯৫৬ জন। কেবল চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ ৯.১৫ ও এর বেশি স্কোরধারী শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।