তেজাস সিনেমায় লোকসান হতে যাচ্ছে ৬৮ কোটি টাকা

সময়টা মোটে ভালো যাচ্ছে না ভারতীয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘তেজাস’ সিনেমায় লোকসান হতে যাচ্ছে ৫১ কোটি ভারতীয় রুপির মতো, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬৮ কোটি টাকা।

গত আট বছরে সেভাবে হিটের মুখ দেখেননি বলিউডের ‘কুইন’। জাতীয় পুরস্কার এসেছে ঠিকই, তবে বক্স অফিসে সাফল্য নেই বললেই চলে। ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ ছিল কঙ্গনার শেষ হিট ছবি। এরপর ‘কাট্টি বাট্টি’, ‘সিমরন’, ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’, ‘পাঙ্গা’, ‘থালাইভি’, ‘ধাকড়’- ফ্লপের ধারা অব্যাহত।

গত ২৭ অক্টোবর বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল ‘তেজাস’। ভারতীয় বিমান বাহিনীর নারী অফিসারকে ঘিরে তৈরি এই সিনেমা নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন ‘কুইন’। কিন্তু মুক্তির পর থেকে সিনেমা হলে মাছি তাড়াচ্ছে হল মালিকরা। সিনেমাটি প্রত্যাখ্যান করেছে দর্শক। স্বভাবতই দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই হল থেকে বিদায় নিল এই সিনেমা।

ভারত জুড়ে মাত্র ৪.২৫ কোটি ভারতীয় রুপির টিকিট বিক্রি হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের এই সিনেমার। যে জায়গায় পরিচালক সরবেশ মারওয়া পরিচালিত তেজাস-এর বাজেট কমপক্ষে ৭০ কোটি রুপি।

বলিউড হাঙ্গমার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তেজাসের এই ব্যবসা থেকে প্রযোজের ঘরে এসেছে মাত্র ৭০ লাখ রুপি। ভারতে ডিস্ট্রিবিউটারদের পকেটে গিয়েছে মাত্র ১.৯১ কোটি এবং বিদেশ ডিস্ট্রিবিউটারা পেয়েছে মাত্র ৩২ লাখ রুপি। সিনেমার স্যাটেলাইট, ডিজিটাল স্ট্রিমিং এবং মিউজিকয়ের স্বত্ত্ব বিক্রি হয়েছে ১৭ কোটিতে। তাই সব মিলিয়ে আয় দাঁড়াবে ১৯ কোটির আশপাশে। সুতরাং এই ছবির ভরাডুবি নিশ্চিত।

৫১ কোটির লোকসান হতে চলেছে প্রযোজকের, যা কঙ্গনার ক্যারিয়ারে আরো একটা কালো দাগ বলেই বিবেচ্য। এবার সমালোচকের বিচারে বলিউডের ‘ফ্লপ কুইন’-এর তকমা পাচ্ছেন কঙ্গনা।

সিনেমার প্রচার বাড়াতে যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের হাতজোড় করেছিলেন কঙ্গনা। দর্শকদের অনুরোধ করেছেন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে তেজাস দেখতে। কিন্তু অভিনেত্রীর কাতর আর্জি নিয়ে মাথাব্যথা নেই অনুরাগীদের।

ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, তেজাসের ব্যর্থতায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কঙ্গনা। একের পর এক ফ্লপ ঘিরে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

যদিও নতুন উদ্যমে ফের শুরু করতে নিজেকে প্রস্তুত করছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। আপাতত তার পাখির চোখ ‘ইমার্জেন্সি’। এই সিনেমায় দেশের সাবেক প্রধনমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে।

‘ইমার্জেন্সি’ পরিচালনার দায়িত্বেও আছেন কঙ্গনা নিজে, এই ছবি তৈরি হয়েছে তার প্রযোজনায়। মোদি-ভক্ত কঙ্গনা ছবি তৈরি করেছেন কংগ্রেস জামানায় ঘোষিত জরুরি অবস্থা নিয়ে। সিনেমাটি ঘিরে যে বিতর্ক হবে তা পরিষ্কার। অক্টোবর মাসে এই সিনেমা মুক্তির কথা থাকলেও তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা।

দিওয়ালিতে মুক্তি পাচ্ছে টাইগার ৩, ক্রিসমাসে ‘ডাঙ্কি’ নিয়ে আসবেন শাহরুখ। তাই ২০২৩ সালে ইমার্জেন্সি মুক্তির সম্ভাবনা নেই তা স্পষ্ট।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস