জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে মাঝরাতে ধর্ষণ ও খুনেরচেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার নাসির ইউ মাহমুদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই রাতে ঘটনার সাক্ষী ছিলেন তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি। এবার তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই রাতের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে জিমি বলেন, আমার নাম জিমি। আমি ফ্যাশন ডিজাইনার। সব কথা বলার মতো সাহস সবসময় থাকে না। কথাগুলো বলার সময় হয়েছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। সব কিছু বের হবে, সবার সামনে আসবে, আমি এটা বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, আপিকে (পরীমনি) বাজেভাবে গালাগাল করল ক্লাবে থাকা মদ্যপ লোকেরা। যদি কখনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে আপি আমাকে আগেই বলেছিল। ওরা যখন আপিকে গালাগাল করছিল তখন আমার হাত কাঁপছিল। আমি আপির মোবাইল বের করেছি, তবে ব্যবহার করতে পারিনি। পরে আমি আমার মোবাইলে ১৫ সেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করেছি। ওটা হাতে নিয়ে দেখার পরে আমাকে এসে ওনারা দুজন আক্রমণ করেছে। আমি আপির ফোনটা ওখানেই রেখে এসেছি। ওরা ভেবেছে আপির ফোনেই ভিডিওটা করেছি। আপির ফোন ফেলে দিয়েছে।
পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার বলেন, ওরা ক্লাবের লাইট বন্ধ করে দেয়। একই সাথে এসিও বন্ধ করেছিল। আপির অক্সিজেন কমে আসায় আমি ওয়েটারকে এসি ছাড়ার অনুরোধ করি। ওরা সাপোর্ট দিয়েছে। ওরা এসি ছেড়ে দেয়। ওয়েটাররা পাশেই ছিল। এর মধ্যে ওরা চলে গেছে। ওয়েটারদের বলেছি ভাইয়া লাইটা জ্বালিয়ে দেন। তখন আপি নিশ্বাস নিতেই পারছিল না। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দেয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। তখন আমি তাদের বলেছি প্লিজ আপিকে ধরেন, আমি ধরছি আমার সঙ্গে তারাও ধরছে গাড়িতে তুলে দিয়েছে।
নাসিরকে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে জিমি বলেন, আসলে আমি একটা গেঞ্জি আর শটর্স পরা ছিলাম। এ অবস্থায় আমাদের ক্লাবে ঢুকতেও দিচ্ছিল না। ফোন করার পরে আমাদের ঢুকতে দেয়। আপি সেখানে উঠে বাথরুমে যায়। আর আমি তো ওনাকে চিনিও না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা