বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী বর্ষণে কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে আছে গভীর বঙ্গোপসাগর। ফলে খুটাজালের গাতা ঠিক করার জন্য হোসেন পাড়ার একটি মাছধরা ট্রলার সমুদ্রে গেলে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে তিন জেলেসহ ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে রামনাবাদ নদীর মোহনা থেকে অন্য ট্রলারের জেলেরা ভাসমান অবস্থায় ওইসব জেলেদের উদ্ধার করে। জেলেরা হচ্ছে আমির হোসেন (৩০), রাকিবুল (২৫), রুবেল (২৮), তারা সবাই সুস্থ্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে লাগাতার ভারী বর্ষণে ডুবেগেছে সবজি খেত, ফসলি জমি, পুকুর-ঘের। এদিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষকসহ শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুয়াকাটার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অপরিকল্পিত পানি নিস্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে গত তিনদিন ধরে পানিতে ডুবে রয়েছে কুয়াকাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা। এর ফলে ৩ শতাধিক পরিবার পনিবন্ধী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরের মধ্যেই বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। জনপ্রতিনিধিরা তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সবজি খেত, ফসলি মাঠ, পুকুর-ঘের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত কলাপাড়ায় ১৪২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পায়রা সমুদ্র বন্ধরকে ৩নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। আগামি দুই/তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস সূত্রে জানা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা