করোনা দুর্যোগের মধ্যেই ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আমফানে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার চার উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০টি গ্রামের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের। টানা বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলার সবকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ে শহরের পুরনো স্টেডিয়াম ও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের অস্থায়ী বাজার বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষেত ও বসতঘর তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নলছিটির সরই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আলতাফ হাওলাদার বলেন, রাতে আমরা পরিবারের লোকজন শবে কদরের নামাজ পড়ছিলাম, এরই মধ্যে প্রচণ্ড বাতাসে ঘর মটমট করে ভাঙার শব্দ শুনতে পাই। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে ঘরটি ভেঙে যায়। আমি গরিব মানুষ খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করতে পরেনি প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। তবে মাঠ পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা