ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ধর্ষণ মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘ধর্ষণের কারণে আমার এই পরিণতি।’
কাঁঠালিয়া থানার ওসি এনামুল হক জানান, শনিবার বেলা ২টার দিকে বলতলা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সজলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় সুতা দিয়ে ঝুলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার নাম সজল মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি’।
নিহত সজল জোমাদ্দার (২৮) পাশের জেলা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের আলম জোমাদ্দারের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি পিরোজপুরের ভন্ডারিয়া উপজেলায় গ্রামের বাড়ি থেকে পাশের হেতালিয়া গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদরাসা ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে পানের বরজে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সজলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ভান্ডারিয়া থানায় সজলসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর থেকে উভয় আসামি পালাতক ছিলেন বলে জানান ভন্ডারিয়া থানার এসআই তারিকুল। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এধরণের ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তোলে ধরছেন সাধারণ মানুষ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা