১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


স্বাধীনতার ৫২ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ

২০ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ২০০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো
-


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা ও দৌলতপুর সড়কের আর্সি নদীর ওপর স্বাধীনতার ৫২ বছরেও নির্মাণ হয়নি কোনো ব্রিজ। প্রায় দুশত ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দুই লক্ষাধিক মানুষের পারাপার করতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।

এ স্থানে একটি ব্রিজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্রিজ হয়নি আজো। প্রতিদিন এ পথে ২০ গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃৃপক্ষ এ দিকে একটু নজর দিবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই নদী পারাপার হয় বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, কালারাইয়া, মোহাম্মদপুর, ঘোড়াশাল, সোনাকান্দা, জোগেরখিল, মেটংঘর ও দৌলতপুর গ্রামের মানুষ। কিন্তু ব্রিজের অভাবে ২০টি গ্রামের লোকজনের পারাপার, প্রায় ১০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনতে ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম দুর্র্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে প্রতি বছরই এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে ও সহযোগিতায় নিজস্ব অর্থায়নে লাখ টাকা ব্যয়ে এ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে থাকে।
বর্র্তমানে সঁাঁকোটি ঝঁুকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে এ সাঁকোর ওপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এ এলাকায় কোন প্রাথমিক, উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ নেই। বাধ্য হয়ে খালের এ পারের শিক্ষার্থীদেরক ওপারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। এতে করে অভিভাবকদের থাকতে হয় আতঙ্কের মধ্যে।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা সেই ছেঁাঁয়া থেকে বঞ্চিত। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে অসুস্থ ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারতেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতে নতুন দিগন্ত খুলে যেত।
বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার খান বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আর্সি নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের। আমি বহুবার এমপি-মন্ত্রীর কাছে গিয়েও বরাদ্দ পাইনি। সেতুটি নির্মিত হলে মুরাদনগর উপজেলা উত্তর অঞ্চলের ২০ গ্রামের লাখো লোকের দুর্ভোগ কমবে। উন্নত হবে তাদের জীবনমান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যায় মৃত্যুদণ্ড ৭, কারাদণ্ড ৭ সাময়িক বিনোদন চূড়ান্ত সফলতার পথে অন্তরায় : শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের এমপি আজিমের ভারতে নিখোঁজের ব্যাপারে যা জানা গেছে রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ায় ২ পুলিশকে মারধর জিম সেশনে ঘাম ঝরালো বাংলাদেশ দল আশুলিয়ায় নিবন্ধন না থাকায় ২টি হাসপাতাল সিলগালা সরকারের ইচ্ছের অভাবে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বদেশী ভাষা চালু হয়নি এমপির প্রভাব ও নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যানদের আয় বেড়েছে প্রায় ৫৫০ শতাংশ : টিআইবি জৈন্তাপুরে প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে থাকলেও ভোটে আগ্রহ নেই ভোটারদের সিংগাইরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মুদি দোকানির মৃত্যু

সকল