০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চিতলমারীতে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ধান উৎপাদন

-

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খাবার উপযোগী বিশেষ ধান উৎপাদন করা হয়েছে। কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ^াস তার জমিতে ব্রিধান-১০৫ নামে নতুন জাতের এই ধান উৎপাদন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
উপজেলা কৃষি দফতর জানিয়েছে, এবারই প্রথম চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ^াসের ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ধানের পরীক্ষামূলক চাষ হয়।
গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানী সৃজন চন্দ্র দাস ও ড. জাহিদুল ইসলামের তত্ত্ব¡াবধানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চিতলমারীর সহযোগিতায় কৃষক বিধান চন্দ্র এই ধান সফলভাবে উৎপাদন করেন।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত-আল-মারুফ বলেন, ‘এই ধানের জিআই মান কম, অর্থাৎ ‘৫৫’ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই ধানের চাল উপযোগী খাবার। যে খাবারে জিআই যত বেশি থাকে সেই খাবার খাওয়ার পর তত দ্রুত ভেঙে রক্তে মিশে যায়। ফলে ওই সব খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ ধানের চালে জিআই থাকে ৬৬ মাত্রায়। কিন্তু নতুন জাতের এই ব্রিধান-১০৫ এর চালে জিআই ৫৫ মাত্রার হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার।’
ধানের নমুনা কর্তন শেষে দেখা যায়, ২০ বর্গমিটার জমিতে ১৪.৯ কেজি ফলন (কাচা) উৎপাদিত হয়েছে। যার শুকনো ওজন হবে ১৩.১৬ কেজি। এ হিসাবে হেক্টরপ্রতি এই ধানের ফলন হয়েছে ৬.৫৮ মেট্রিক টন। পরীক্ষামূলক এই চাষে কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ^াস সফল হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ব্রিধানের (১০৫) বীজসহ পরামর্শ পান।


আরো সংবাদ



premium cement