২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মূল্যবৃদ্ধির চাপে চিঁড়েচ্যাপটা স্বল্প আয়ের মানুষ

অস্বাভাবিক দামের কারণে তেমন ক্রেতা নেই সবজির দোকানে। ছবিটি শিবচরে উৎরাইল বাজারের : নয়া দিগন্ত -

নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। মাস শেষ না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পকেট। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। মাছ-গোশতের বাজারে আগুন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাকসবজির দামও। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির চাপ সবার আগে এসে আঘাত হেনেছে সাধারণ মানুষের ওপরে। সব কিছুর দাম বৃদ্ধির চাপে পড়ে সবার আগে চিঁড়েচ্যাপটা হচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বেড়েছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও। স্কুল, বাজার, কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতে বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, বাস, নৌযান অর্থাৎ জ্বালানি তেলনির্ভর সব যানবাহনে ভাড়া বেড়েছে। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের ওপর।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের মধ্যে অধিকাংশ সবজির দামই আগের তুলনায় বেশি। উপজেলার উৎরাইল হাটে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়, বেগুন ৬০-৬৫ টাকায়, ঢ্যাঁড়শ ৪৫-৫০ টাকায় ও আলু ৩০-৩৫ টাকায়। এ ছাড়া লাল শাক, ডাঁটা শাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় আঁটি ছোট হয়েছে। এদিকে লাউ, কুমড়া, কচু, ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা কেজি। চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি দরে। নদী ও খাল-বিলের মাছের দাম আকাশছোঁয়া।


বুলবুল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, যেদিন মাছ কিনতে পারতাম না, সেদিন ডিম কিনে নিতাম। ডিম, আলু আর ডাল দিয়ে তিন বেলা খাওয়া যেত। ঘরের বাচ্চারাও খুশি থাকত। এখন কী করব? ডিমের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে ডিমও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের দু’বেলা খেয়ে থাকার উপায় কী?
দিনমজুর জলিল মিয়া বলেন, আগে প্রতিদিনই কাজ পেতাম। কোনো দিন কাজ না পেলে ভ্যান চালাতাম। কিন্তু বাংলাবাজার ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সারা দিন ভ্যান চালিয়ে মাত্র ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পাই। এ টাকায় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। গরিবের কষ্ট কেউ দেখে না। খাদ্যপণ্য কিনতেই আয়ের টাকা শেষ হয়ে যায়। এ ছাড়া চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচের কথা চিন্তাও করতে পারছি না।
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তি শাহিন মিয়া, থাকেন শিবচর সদরে। ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। স্বামী-স্ত্রী, দুই সন্তান ও বৃদ্ধ মাসহ তাদের পাঁচজনের সংসার চলে এই টাকায়। সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর চালাতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে কাজ শেষ করে রাতে টিউশনি করতে হচ্ছে তাকে।


স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দেশ’ এর যুগ্ম সম্পাদক এসএম দেলোয়ার হোসাইন নয়া দিগন্তকে জানান, এমনিতেই মানুষ ব্যয়ের চাপে পড়ে আছে, তার ওপর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। আয় না বাড়লেও ব্যয় বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
এদিকে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে জানিয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই আমরা বাজার মনিটর করছি। তা ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কোনো অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং নিয়ে তৎপর রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের

সকল