১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


হাজারি লাউ চাষে চমক

নিজের ক্ষেতের লাউ দেখাচ্ছেন কৃষক : নয়া দিগন্ত -

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পটোলের জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে লাউ চাষ করে চমক দেখিয়েছে কৃষকরা। শীতের চার মাস পটোলের আবাদ না থাকায় সেই মাচায় হাজারি জাতের লাউয়ের চাষ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে তারা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ২৫০ জন কৃষক চলতি মৌসুমে ১১২ বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে লাউ চাষ করেছে। স্থানীয়রা জানায়, চৈত্র থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত মাচায় পটোলের চাষ করে কৃষকরা। তারপর অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই পটোলের গাছ কেটে দেয়া হয়। তখন প্রায় তিন মাস ফাঁকাই পড়ে থাকে জমি ও মাচা। তাই আশ্বিন মাসের শেষের দিকে কৃষকরা সেই পটোলের জমিতে লাউয়ের বীজ রোপণ করে। লাউগাছ বড় হলে সেগুলো পটোলের মাচায় তুলে দেয়া হয়। আর হাজারি জাতের লাউগাছ ৪৫ দিনেই পুরোদমে ফল দিতে শুরু করে। এ জাতের লাউ খেতে সুস্বাদু এবং চাষে খরচও খুব কম। সার হিসেবে সামান্য জৈব ও রাসায়নিক সার দিলেই চলে। আর সপ্তাহে একবার হালকা কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
রহিমানপুর এলাকার লাউ চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, এ মৌসুমে তিনি ২৭ শতাংশ জমিতে মাচায় লাউ চাষ করেছেন। গত মাস থেকে তিনি কচি লাউ বাজারজাত শুরু করেছেন। তিনি প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন। এভাবে টানা তিন মাস লাউ বিক্রির ফলে খরচ বাদ দিয়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। লক্ষ্মণহাটি গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, তিনি গত বছর ২০ কাঠা জমিতে হাজারি জাতের লাউ চাষ করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এ মৌসুমেও পটোলের মাচায় ১৬ কাঠা জমিতে লাউ চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১১২ বিঘা পটোলের জমিতে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে লাউ চাষ করেছে। এর ফলে জমির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। একদিকে পটোলের ডোগা বিক্রি করে আয় করছে, অন্যদিকে ওই মাচায় বিনা খরচে লাউ চাষ করে মাত্র তিন মাসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করছে। এই লাউ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

 


আরো সংবাদ



premium cement