২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


নেই পানি, চলে না নৌকা

তিস্তায় হাঁটুপানি ভেঙে নদী পার হয় শিক্ষার্থীরা

-

এককালের প্রমত্তা ও খরস্রোতা তিস্তা নদী মরে গেছে। নদীতে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নেই, কোনো নৌকা চলে না। হাঁটুপানি ভেঙে হেঁটেই নদী পার হয় সাধারণ মানুষ। নীলফামারীর ডিমলায় সরেজমিন দেখা যায়, চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা হেঁটেই তিস্তা নদী পার হচ্ছে।
নৌকার মাঝি কিয়ামুদ্দিন বলেন, তিস্তায় পানি না থাকায় নদী পারাপারে এখন আর নৌকা লাগে না। লোকজন হেঁটেই পার হতে পারে। ডিমলা উপজেলার কিসামত ছাতনাই গ্রামের আজর উদ্দিন (৪৫) বলেন, নদীতে পানি কম, মাছ নেই। তাই মাছ ধরতেও কেউ আসে না নদীতে।
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার দোহলপাড়া আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীর মাহমুদা, অষ্টম শ্রেণীর ঝরনা, সপ্তম শ্রেণীর আঞ্জু জানায়, তারা এভাবেই নদী পার হয়ে স্কুলে যায়, আসে। তাদের সবার বাড়ি কিসামত ছাতনাই চরে। উপজেলার পূর্ব ছাতনাই গ্রামের নুর আলম (৬০) বলেন, কিসামত ছাতনাই গ্রামে কোনো স্কুল নেই। তাই চরের ছেলেমেয়েরা নদী পার হয়ে ওপারের স্কুলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, খরা মৌসুমে ভারত গজলডোবা ব্যারেজের মধ্যে পানি আটকিয়ে রাখে। তাই নদীতে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহটুকুও নেই। এ কারণে নদীর বুকে জেগে উঠেছে এত চর।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় জলবায়ুর পরিবর্তনে এ অঞ্চলের পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীবনজীবিকা প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পথে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফ উদ দৌলা জানান, গত মঙ্গলবার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল মাত্র ছয় হাজার কিউসেক।


আরো সংবাদ



premium cement