২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


উপজেলা নির্বাচন

বিএনপি-জামায়াতের বর্জনে ভোটার উপস্থিতি তলানিতে

বগুড়ার ৩ উপজেলার ফলাফল বিশ্লেষণ
-


বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধীদলের বর্জনের কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও বগুড়ার তিন উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি তলানিতে ছিল। সারাদিন প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটারের অপেক্ষায় থাকলেও কাক্সিক্ষত ভোটার কেন্দ্রে যাননি। কেন্দ্রগুলো বেশির ভাগ সময়ই শূূন্য থাকায় নির্বাচনের কাজে জড়িতরা অলস সময় কাটান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৮ মে প্রথম ধাপে বগুড়া জেলার গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সোনাতলা উপজেলায় ভোট পড়েছে শতকরা ১৭ দশমিক ১১ ভাগ। এখানে মোট ৫৩টি কেন্দ্রে ১,৬৬,১৬১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৮,৪২৭ জন। আনারস প্রতীকে ২০,৪৮৩ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় এমপি সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন। তিনি আনারস প্রতীকে ২০,৪৮৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭,৩৪৫।
সারিয়াকান্দি উপজেলায় ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ১৯ ভাগ। এখানে মোট ৭১টি কেন্দ্রে ১,৯৪,২৯৮ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৮,৯৪৫ জন। সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় এমপি সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল আনারস প্রতীকে ৩৭,২৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী রেজাউল করিম মন্টু মন্ডল পেয়েছেন ৬,১৫৩ ভোট। এখানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান আলী ৩,০১২ ভোট, আশিক আহমেদ ৫৭২ ভোট ও আব্দুস সালাম ৩৬৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
গাবতলী উপজেলায় ভোটার ছিল ২,৮০,৯২৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯১,০২৮ জন, যা শতকরা হার ৩২ দশমিক ৪০। এখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অরুণ কান্তি রায় সিটন ৪১ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বগুড়া পৌর আওয়াামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন পান ৩৯,৭৫২ ভোট। এখানে অপর দুই প্রার্থী আতাউর রহমান ২,৩০৬ ভোট ও শাহানুর ইসলাম ৩,২৪০ ভোট পাওয়ায় তারা জামানত হারিয়েছেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement