২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড়

-

খাগড়াছড়ির রামগড়ে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দেখতে সীমান্তবর্তী মহামুনি এলাকায় প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। সেতুটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে সাবেক মহকুমা রামগড়ের যোগাযোগে আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা। একইভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়নে নতুন পথের সূচনা হবে বলেও মনে করছেন তারা। সব কাজ শেষ হলেও উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা দৃষ্টি নন্দন সেতুটি দেখতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকার এক দর্শনার্থী শিল্পী জানান, রামগড়ে তার পৈতৃকনিবাস। অনেক আগেই এই সেতু নির্মাণের খবর শুনেছেন। সেতুটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ার পর পরিবার নিয়ে দেখতে এসেছেন। সেতু দেখতে আসা রামগড়ের স্থানীয় বাসিন্দা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদা ফেরদৌস বৃষ্টি বলেন, রামগড় পর্যটন শহর। এই শহরের বুকে এমন একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু শহরের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেবে। তিনি বলেন, রামগড়ে স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন, কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক জানান, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের পর স্থল বন্দরের কার্যক্রম চালু হলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলবে। রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ উল্লাহ মারুফ জানান, সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড় করার কথা তিনি শুনেছেন। সেতুটি সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় পরবর্তী মাসিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সেতুর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি তুলে ধরবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। খাগড়াছড়ির রামগড়ে মহামুনি এলাকায় প্রায় ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করছে ভারত সরকার। ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৮২ দশমিক ৫৭ কোটি রুপি।
নির্মাণকাজ শেষ হলে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সাথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবব্রুম মহকুমার সংযোগ স্থাপিত হবে। ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্য ছাড়াও মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সাথে বাণিজ্য প্রসারিত হবে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কট’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক

সকল