০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নিয়োগ জটিলতায় চাকরি নিয়ে শঙ্কায় নওগাঁর ৩ প্রাথমিক শিক্ষক

-

নিয়োগ নিয়ে জটিলতার কারণে চাকরি হারাতে বসেছেন নওগাঁর মহাদেবপুরের চকগৌরী জায়েদা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক। চাকরি বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চকগৌরী এলাকায় ২০১০ সালে জায়েদা বেগম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ছিলেন চারজন। তারা হলেন প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, সহকারী শিক্ষক জোসনা বানু, রিপা রাণী ও মাসুমা জুবাইদা (মুন্না)। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় নিয়োগ পাওয়ার তিন বছর পর ২০১৩ সালে সহকারী শিক্ষক জোসনা বানু, রিপা রাণী ও মাসুমা জুবাইদা চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়ে চলে যান। এতে তিনটি পদ শূন্য হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে রবিউল ইসলাম, মর্জিনা আক্তার ও শাহজান আলী নামে তিন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়। এখন পর্যন্ত তারা কর্মরত রয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলে ইস্তফা দিয়ে চলে যাওয়া জোসনা বানু, রিপা রাণী ও মাসুমা জুবাইদা (মুন্না) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত বৈধ শিক্ষক হিসেবে দাবি করে কেন তাদের এমপিওভুক্ত করা হবে না মর্মে হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন শুনানির পর উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ চলতি বছরের ১২ মার্চ তাদের নিয়োগকে বৈধ বলে ঘোষণা দেন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদানে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৫ মার্চ তিন শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদনপত্র দেন। এ দিকে আদালতের নির্দেশে ৭ বছর আগে ইস্তফা চলে যাওয়া ওই তিন শিক্ষকের আবার বিদ্যালয়ে যোগদানের খবরে চাকরি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বতর্মানে কর্মরত তিন সহকারী শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, যেহেতু তারা উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে এসেছেন তাদেরকে নিয়োগ দিতেই হবে।
মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের আদেশের পর আমাদের কিছুই করার নেই। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই তিন শিক্ষককে নিয়োগ দিতেই হবে। তবে ২০১৪ সালে নিয়োগ পাওয়া ওই তিন শিক্ষকের চাকরির বিষয়টি কী হবে সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement