০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বরিশালে ইমামকে হেনস্থা করায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার

-

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় একটি মাদরাসার অফিস সহকারীকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার ঘটনায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টিথনিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার নাঈমুল হক। তিনি জানান, ওই ঘটনার দায়েরকৃত মামলার মূল অভিযুক্ত দরিরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তফা রাঢ়ী ও সাবেক মেম্বার সাত্তার শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে একটি মাদরাসার অফিস সহকারী ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি দায়ের করা হয়। থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন। মামলায় দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মোস্তফা রাঢ়ী, স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার শহীদ দেওয়ান, সাবেক মেম্বার ইউনুস বয়াতি ওরফে কামরুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস ছত্তার সিকদারসহ ১০ জনকে নামধারী ও আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালিসের নামে বুধবার বিকেলে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে স্থানীয় মাদরাসার অফিস সহকারী ও ইমাম শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করা হয়।
এদিকে নির্যাতিত আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা স্বামীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৯ সালে উপবৃত্তির তালিকা পাঠানোর সময় এক ছাত্রী মাদরাসায় না আসায় সেখানে নিজের একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ দিন নম্বরটি ব্যবহার না করায় এটি বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানি। এরই মধ্যে ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির ১৮০০ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। কিছুদিন আগে মোবাইল নম্বরটি সচল করে উপবৃত্তির টাকা দেখতে পান তিনি। ওই টাকা ছাত্রীর পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই গত ৩০ মে তাকে মারধর করে সিম কার্ডটি নিয়ে যায় ছাত্রীর খালু সাবেক ইউপি মেম্বার সত্তার সিকদার। পরে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি শিক্ষা অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেন। এরপর চেয়ারম্যান তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, টাকা আত্মসাতের ইচ্ছা থাকলে গোপনে টাকা উঠিয়ে ফেলতে পারতেন কিন্তু মাওলানা সাহেব তা করেননি। তিনি ওই ছাত্রীর স্বজনদের অবগত করার আগেই মেম্বার সব ঘুরিয়ে দিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement