১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


দিনাজপুরে লিচুর পাইকারি বাজার মন্দা ক্ষতির মুখে বাগান মালিকরা

-

মৌসুমের শুরুতেই দিনাজপুরের বিভিন্ন বাজারে লিচু উঠতে শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ফুলবাড়ীর বাজারেও উঠতে শুরু করেছে লাল টসটসে রসালো মিষ্টি লিচু। এ জেলার লিচু সুস্বাদু হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে তুলনামূলকভাবে পাইকারি বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবার লিচুর দাম অনেকটাই কমে গেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার বাগান মালিক ও লিচুচাষিরা।
এখন ফুলবাড়ী বাজারে মাদ্রাজী, বেদানা, বোম্বাই জাতের লিচু বেচাকেনা চলছে। পর্যায়ক্রমে কাঠালি, চায়না, চায়না-৩ জাতের লিচু আসবেÑ এমনটাই জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে মাদ্রাজী প্রতি শ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়, বোম্বাই প্রতি শ’ ১২০ টাকা, বেদানা প্রতি শ’ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
লিচু ব্যবসায়ী শফিকুল ও রায়হান বলেন, করোনা পরিস্থির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার লিচুর চাহিদা কম হওয়ায় দামও অনেক কম। এর মধ্যে লকডাউনসহ করোনার প্রভাবে বাজারে খদ্দেরের উপস্থিতি কম থাকায় এবারে ব্যবসায় লাভও কমে গেছে। একই কথা বলেন, ফুলবাড়ীতে রাস্তার দু’ধারে বসে লিচু পসরা সাজানো একাধিক মৌসুমী ব্যবসায়ী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ টি এম হামীম আশরাফ বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলায় মোট ৬৮ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। প্রতি হেক্টরে সাড়ে সাত টন করে মোট ৪৭৬ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর বেদেনা, হাইব্রিড জাতের চায়না থ্রি ও চায়না ফোর জাতের লিচু ব্যাপক হারে চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও দেশী জাতের মাদ্রাজী, বোম্বাই ও কাঁঠালি লিচুর বাগানও রয়েছে। ঝড়ের কারণে এ বছর উপজেলায় ২৭ মেট্রিক টন লিচু ঝরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০০ কৃষক।
এ দিকে বাগান মালিক চাষিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য বাজারজাতকরণের বিষয়েও সবরকম খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement