বাগেরহাটের চিতলমারীতে কিস্তি আদায়ে এসে প্রদীপন এনজিওর শাখা কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত রায় জনরোষের শিকার হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলায় কুরমনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা তাকে আটকে রেখে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে ফোন দেন। এ দিকে ওই এনজিও কর্মকর্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন।
ঋণগ্রহীতা ইতি বিশ্বাস জানান, তিনি এ বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রদীপন চিতলমারী শাখা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। যার সার্ভিস চার্জ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা এবং মাসিক কিস্তি আট হাজার টাকা। এ পর্যন্ত যথারীতি কিস্তির টাকা পরিশোধও করেছেন। কিন্তু গত কয়েক দিন করোনার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ থাকায় তার স্বামী কোনো আয় করতে পারেননি। এর পরও মাঠকর্মী আশ্বাব আলী কিস্তির টাকার জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। টাকা দিতে না পারায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ইন্দ্রজিত রায় ইতির বাড়ি আসেন আশ্বাব আলী। ইন্দ্রজিত সব শুনেও কিস্তির টাকার জন্য চড়াও হন। এ খবর পেয়ে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ইন্দ্রজিতকে আটকে রেখে ডিসি ও ইউএনওকে ফোন দেন। একই ধরনের কথা বলেন প্রদীপন থেকে ঋণগ্রহীতা শিপ্রা মণ্ডল ও ডলি রানী বিশ্বাস। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে অনুকূল বসু নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অমানবিক ঘটনাটি শুনে তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে অবহিত করেন।
প্রদীপন চিতলমারী শাখার ম্যানেজার ইন্দ্রজিত রায় জানান, সরকারিভাবে কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়ে তিনি জানেন না। এ ছাড়া তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে চিঠি দিয়ে বা ফোন করে কোনো কিছু জানায়নি।
তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলম জানান, সরকারিভাবে আগামী জুন মাস পর্যন্ত সব ঋণ আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা