০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পাটগ্রামে কৃষিশুমারির কাজে বিশৃঙ্খলা

শুধু ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ

-

নামে মাত্র প্রচার-প্রচারণা, অশিক্ষিত লোক দিয়ে দায়সারা তথ্য সংগ্রহ এবং এলাকায় না গিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে শেষ হলো লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার কৃষিশুমারি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পাটগ্রাম উপজেলা অফিস পরিচালিত এই কৃষিশুমারি শুরু হয় গত ৯ জুন এবং শেষ হয় ২০ জুন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণএলাকায় নামে মাত্র কিছু পোস্টার-ব্যানার দেখা গেলেও সেটি তেমন চোখে পড়ার মতো নয়। প্রচার-প্রচারণা ছিল খুবই কম। বৃহস্পতিবার কৃষিশুমারির কাজ শেষ হয়েছে অথচ পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক বাড়িতে তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি সংগ্রহকারীরা। কোনো কোনো সংগ্রহকারী নামে মাত্র তথ্য সংগ্রহ করে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। এলাকায় গিয়ে শুধু ব্যক্তির নাম এবং মোবাইল নম্বর নিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। তথ্য সংগ্রহকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তথ্যদাতারা অভিযোগ করেছেনÑ তথ্য সংগ্রাহকদের অনেকেই অশিক্ষিত কেউ কেউ স্বল্পশিক্ষিত। আবার ট্রেনিংপ্রাপ্ত সংগ্রাহকেরা নিজে তথ্য সংগ্রহ না করে অন্যকে দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করিয়েছেন এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষি কর্মকর্তা বলেন কৃষিশুমারিতে আমাদেরকে সম্পৃক্ত করার নিয়ম থাকলেও এ ব্যাপারে আমাদের অবগত করা হয়নি। এমনকি একজন কৃষি কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, আমিও একজন কৃষক অথচ আমার বাড়িতে কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যায়নি। এখানে পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সরকারি অর্থের যে ব্যয় এই ব্যয় কোন খাতে কত টাকা দেখানো হয়েছে তা-ও অজানা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সাগর বাবু নামে একজন তথ্য সংগ্রাহকের পক্ষে তার হয়ে কাজ করেছেন আবজাল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে আবজাল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাগর বাবুর নাম অফিসে তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তিনি একদিন ট্রেনিং করেছেন। তবে তিনি লিখতে না পারায় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি কিছু টাকা পাবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী নারায়ণ চন্দ্র কর্মকারের কাছে জানতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথা বলে তিনি তার দায় এড়িয়ে যান।

 


আরো সংবাদ



premium cement