০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নন্দীগ্রামে শীতের শুরুতেই কুমুর বড়ই তৈরির হিড়িক

-

শীত আসার সাথে সাথে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার জনপ্রিয় খাবার কুমুর বড়ই তৈরির হিড়িক পড়েছে। গ্রামের প্রায় ঘরে বিশেষ করে হিন্দু পরিবারের গৃহবধূরা মওসুমি খাদ্য হিসেবে কুমুর বড়ই তৈরি করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
জানা যায়, মাষকলাইর ডাল থেকে তৈরি করা এই সুস্বাদু খাবার শুধু শীতের সময়ই তৈরি ও বিক্রি হয়ে থাকে। যা সারা বছরের খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সবজি তরকারি ছাড়াও প্রায় সব তরকারিতে এই খাদ্য সহযোগী উপাদান হিসেবে ও আলাদাভাবে ভর্তা করেও কুমুর বড়ই খাওয়া যায়।
নন্দীগ্রাম উপজেলার নুন্দহ, কল্যাণনগর, হাটধুমাসহ বিভিন্ন গ্রামের গৃহবধূদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি শীত মওসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রায় বাড়িতে কুমুর বড়ই তৈরির ধুম পড়ে যায়। বিশেষ করে উপজেলার হাটধুমা গ্রামের প্রায় বাড়িতেই তৈরি করা হচ্ছে কুমুর বড়ই। কুমুর বড়ই তৈরির পর স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার দোকানিরা এসে কিনে নিয়ে যায়। এতে করে নিজেদের খাবারের পাশাপাশি বিক্রয় করে বাড়তি আয় হয় বলে গৃহবধূরা জানান।
হাটধুমা গ্রামের গৃহবধূ হাজেরা বেগম বলেন, কুমুর বড়ই তৈরি করতে প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় মাষকালাইর ডাল। এটি আসল কুমুর বড়ই। তবে এর সাথে চাল মিশিয়ে যে বড়ই তৈরি করা হয় তার কদর থাকলেও মান ভালো নয়। কুমুর বড়ই তৈরির প্রক্রিয়া হিসেবে তিনি বলেন, সারা রাত পানিতে মাষকালাই ডাল ভিজিয়ে রাখার পর তা পিষে প্রতিদিন ভোরে পাতলা কাপরের ওপর রোদে শুকাতে দেয়া হয়। দেড় থেকে দুই দিন শুকানোর পর কুমুর বড়ই খাওয়ার উপযোগী হলে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয়। কখনো কখনো বড় বড় মহাজন ও ছোট ছোট দোকানিরা নিজেরাই এসে কিনে নিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম হাটের কমুর বড়ই বিক্রেতা কার্তিকচন্দ্র বলেন, মাষকালাই থেকে তৈরি আসল কুমুর বড়ই প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মানের কুমুর বড়ই ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কুমুর বড়ই তৈরির উপযুক্ত সময়। এই দুই মাসে যতটুকু কুমুর বড়ই উৎপাদন করা হয় তা বছর জুড়ে বিক্রি হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement