২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা - ফাইল ছবি

মিয়ানমারে বিরোধীদের উপর সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা সমন্বিত নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে বিমান বাহিনীর নবনিযুক্ত প্রধানসহ সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা এবং অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত দুটি প্রতিষ্ঠানও।

মূলত, প্রভাবশালী এ তিন দেশের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে মিয়ানমারের তিন অভিযুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলো এবং অনুমোদিত অস্ত্র ব্যবসায়ী টে জাও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মিয়ানমারের সেনা ইউনিটের ৬৬তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের বিরুদ্ধেও, যারা গত বছর বড়দিনের উৎসবের আগে দেশের দক্ষিণপূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়িতে আগুন দিয়ে ৩০ জন বেসামরিক লোককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন দেখানোর জন্য এবং দেশটিতে সামরিক শাসনের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা এ পদক্ষেপগুলো নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে বার্মাকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া অব্যাহত রাখব।

এই মাসের শুরুর দিকে, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদেরকে নির্যাতন এবং নির্বিচার হত্যাসহ যুদ্ধাপরাধের জন্য সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে জাতিসঙ্ঘ।

এদিকে সম্প্রতি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘ দিনের সহিংসতাকে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৫ অগাস্টের পর থেকে সহিংসতার মুখে কয়েক মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে কয়েক দফায় আসেন আরো কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ২০১৯ সালে মামলাটির প্রাথমিক শুনানি শুরু হয়।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নভেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন ব্লিংকেন ধামরাইয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ, কাদঁলেন মুসুল্লিরা বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত এসএসসি পরীক্ষার ফল ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ কলাপাড়ায় বালুর জাহাজ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ যেসব কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার ফেসবুক আইডি ও পেজ কুয়াকাটাসহ উপকূল পুড়ছে তাপপ্রবাহে, স্বস্তি নেই জনজীবনে আজ দুপুরে দেশের উদ্দেশে আল হামরিয়া বন্দর ছাড়বে এমভি আব্দুল্লাহ ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বিদেশফেরত যুবকের মৃত্যু শেরপুরে হিট স্ট্রোকে আরো ১ জনের মৃত্যু যশোরে ক্যাম্পাস থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল