দক্ষিণ-পূর্ব চীনের গুয়াংজি অঞ্চলে দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটির আরোহীদের কাউকেই জীবিত পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে এই খবর জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, ‘বিমানের ধ্বংসাবশেষ ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিমানটিতে আরোহী যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়া কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
এর আগে সোমবার চীনের চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের এই বোয়িং-৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ১২৩ যাত্রী ও নয় ক্রু মিলিয়ে মোট ১৩২ আরোহী ছিলেন বলে জানানো হয়।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে জানানো হয়, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে দুর্ঘটনাস্থলে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের জন্য ড্রোনের সাহায্য নেয়ার পাশাপাশি উদ্ধারকারীরা চেষ্টা করছেন।
ঘটনার জেরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘সর্বাত্মক’ উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও বেসামরিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও আদেশ দেন।
সোমবার চীনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় গুয়াংজু যাওয়ার উদ্দেশে বিমানটি কুনমিং থেকে উড্ডয়ন করে।
দুপুর ২টা ২২ মিনিটে বিমানটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সময় তিন হাজার দুই শ’ ২৫ ফুট উঁচু দিয়ে ৩৭৬ নট গতিতে বিমানটি চলছিলো।
বিমানটির বেলা ৩টা ০৫ মিনিটে গুয়াংজুতে অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিলো।
এই দুর্ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে বৃহত্তম দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
চায়না ইস্টার্ন চীনের তিনটি প্রধান এয়ারলাইন্সের মধ্যে অন্যতম। চীনের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ২৪৮টি গন্তব্যে এটি যাত্রী পরিবহন করে।
সূত্র : সিএনএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা