২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পারমাণবিক চুল্লির ১০ লক্ষ টন পানি সমুদ্রে ছাড়বে জাপান

পারমাণবিক চুল্লির ১০ লক্ষ টন পানি সমুদ্রে ছাড়বে জাপান - ছবি - সংগৃহীত

জাপান সরকার ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে নির্গত ১০ লক্ষ টনের বেশি বর্জ্য পানি সমুদ্রে ছাড়াতে চলেছে। মঙ্গলবার সে দেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে একথা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই জাপানের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে জানা যায়, আগে থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এসেছিল জাপানের মৎস্যজীবীরা। কিন্তু সে সব পাশে সরিয়ে রেখেই পারমাণবিক চুল্লি থেকে নির্গত পানি সমুদ্রে ছাড়ার কথা ঘোষণা করল সরকার। পরমাণু কেন্দ্রে এই পানি চুল্লিকে ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারের পর তা নিরাপদে সংগ্রহ করে রাখা হয় পরমাণু কেন্দ্রের মধ্যেই।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন এটি একটি ‘অনিবার্য প্রক্রিয়া’। পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ প্রমাণ হওয়ায় এবং সম্ভাব্য সমস্ত রকম ক্ষতি রোধ করা যাবে এটা নিশ্চিত করার পরই তা শুরু করা হবে।

জাপানের এই পরমাণু কেন্দ্রটি ২০১১ সালের সুনামির পর থেকে বিকল হয়ে যায়। পরমাণু কেন্দ্রের ট্যাঙ্কগুলিতে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টন এমন পানি জমে রয়েছে। এই পানি নিয়ন্ত্রিতভাবে মুক্ত না করলে তা আবার সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পরমাণু চুল্লির এই পানি দীর্ঘদিন সমুদ্রে ছাড়া হয়নি। আবার এই প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক দশক লেগে যাবে। তবে ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জাপানের ঘরে-বাইরে। তবে জাপান সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই বর্জ্য পানি থেকে সমস্ত রকম তেজস্ক্রিয় উপাদান সরানো হয়েছে। এই পানিতে কারো কোনো ক্ষতি হবে না।

এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্বে যে ভাবে পরমাণু কেন্দ্রের পানি সমুদ্রে ছাড়া হয়, এটাও সেই প্রক্রিয়া। জাপানের এই প্রক্রিয়াকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে আইএইএ।


আরো সংবাদ



premium cement