জাপানের পাইকারি তেল বিক্রি করা বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী অক্টোবর মাসে ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি স্থগিত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তেহরান থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে এমন আশংকা থাকায় টোকিও এটা করতে যাচ্ছে। খবর এএফপি’র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে করা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত মে মাসে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন এবং গত মাসে ইরানের ওপর আবারো অবরোধ আরোপ করেন। এ অবরোধের আওতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশকে ইরানের সাথে বাণিজ্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ তেল ও ব্যাকিং খাত। আগামী ৫ নভেম্বর থেকে এ দুই খাতে মার্কিন অবরোধ পুনর্বহাল করা হবে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জিজি প্রেস এজেন্সি ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জাপান ইরান থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তাদের ছাড় পাওয়া প্রায় অসম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, এরফলে জাপানের তেল কোম্পানিগুলো ইরানের অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় জাপান ইরান থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে ছাড় দেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছে বলে সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তেল আমদানিকারকরা ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধের তাদের আকস্মিক পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান শোয় শেল সেকিউ’র মুখপাত্র সোমবার এএফপি’কে বলেন, ‘ইরান থেকে তেল আমদানির ব্যাপারে আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত পালন করবো। এ ব্যাপারে আমাদের আর কিছু বলার নেই।’
আরেক পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান জেএক্সটিজি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে অপ্রতুল জাপান মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। গত বছর দেশটির মোট তেল আমদানির ৫.৩ শতাংশ ইরান থেকে আমদানি করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা