২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হাইতির প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরায় বাধা, পদত্যাগের চাপ

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ সংগ্রাম করছেন। তিনি এখন দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। অপরাধী চক্রের হামলায় সে দেশের প্রধান বিমানবন্দর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক কয়েক দিনে চার হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর পর্যন্ত হেনরি পুয়ের্তো রিকোতে ছিলেন। প্রতিবেশী দেশ ডমিনিকান রিপাবলিকে অবতরণে তাকে বাধা দেয়ার একদিন পর সেখানে তিনি হাজির হন। ডমিনিকান রিপাবলিকের কর্মকর্তারা হাইতি থেকে আসা-যাওয়ার আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।

আপাতত দেশের বাইরে আটকে থাকা হেনরি অচলাবস্থার মুখে পড়েছেন। কেননা কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন অথবা সেদিকেই তাকে ঠেলে দিচ্ছেন।

৭৪ বছর বয়সী হেনরি একজন নিউরো-সার্জন। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সেখানে কাজ করেছেন। ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি হাইতির রাজনীতিতে যুক্ত হন। এই সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাঁ-বারট্রান্ড অ্যারিস্টাইডের বিরোধী এক আন্দোলনের নেতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

অ্যারিস্টাইডের ক্ষমতাচ্যুতির পর হেনরি যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট এক পরিষদের সদস্য হন। এই পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনে সাহায্য করেছিল।

২০০৬ সালের জুন মাসে হাইতির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন তিনি এবং পরে এই সংস্থার তিনি চিফ অফ স্টাফ হন। ২০১৫ সালে তাকে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং হাইতির নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্র নীতি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

কয়েক মাস পর তিনি সমাজকল্যাণ ও শ্রমমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, তবে ইনাইট দল ছাড়ার পর তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়। তার পদত্যাগের দাবি করেছে যারা তাদের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত একাধিক চক্র। তাছাড়া হাইতিবাসীরা ক্ষুব্ধ কারণ প্রায় এক দশক সে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

তারা আরো উল্লেখ করেছে, হেনরি কখনো নির্বাচিত হননি এবং তিনি মানুষের প্রতিনিধি নন।

কনক্যানন বলেন, ‘হাইতির স্বীকৃত পদ্ধতি মেনে তাকে নিয়োগ করা হয়নি। আদালত মূলত তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।’

দক্ষিণ আমেরিকার গুয়ানায় ক্যারিকম নামে পরিচিত আঞ্চলিক বাণিজ্য সংস্থা আয়োজিত চার দিনের এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত মাসে হেনরি হাইতি ত্যাগ করেছিলেন। সেখানেই হাইতির ক্রমবর্ধমান সঙ্কট নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়েছিল।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক আঞ্চলিক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন, ক্যারিবিয়ান নেতারা বৃহস্পতিবার বিকেলে হেনরির সাথে কথা বলেন এবং পদত্যাগসহ কয়েকটি বিকল্প দিয়েছেন তাকে। হেনরি পদত্যাগের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন।

এ দিকে, গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেনরি কর্মকর্তাদের বলেন যে তার পরিকল্পনা হলো হাইতিতে ফিরে যাওয়া।’ হাইতি ও হেনরির সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার বিকেলে এক জরুরি বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।’

ওই বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা হেনরিকে ছাড় দিতে বলছে।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement