১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫
`


দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন

-

জীবন চলার পথে একজন মানুষ বহু টেনশন-দুশ্চিন্তা নিয়ে বেঁচে থাকে। দুনিয়ার বুকে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে নিজেকে একজন দুশ্চিন্তামুক্ত-সুস্থ সবল মানুষ দাবি করতে পারে! কেউ বলতে পারবে না, তার কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই।
মানুষের ভেতরে জমে থাকা দুঃখ-দুর্দশা যদি অপরের কাছে বললেই সমাধান পাওয়া যেত তা হলে সবাই তাই বলত। নিশ্চয়ই মানুষের কাছে শেয়ার করত- আর তখন বোঝা যেত, একজন মানুষ কত রকমের মনোবেদনা নিয়ে বেঁচে থাকে। এমন কিছু জিনিস প্রতিটি মানুষ জীবনে বয়ে বেড়ায়- যার সমাধান সে দুনিয়াতে পাবে না বলেই ধরে নিয়েছে। তাই কারো কাছে মন খুলে বিষয়গুলো হয়তো সে বলে না! তা বলেই কি সে অনেক বেশি সুখি? তা কিন্তু বলতে পারি না।

কেউ আছে নিজের ভেতরে জমে থাকা দুঃখ-বেদনার কথা অকপটে মানুষের কাছে বলে বেড়ায়! আবার কেউ আছে না খেয়ে না পরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়। নিশ্চয়ই দু’জনের মধ্যে অনেক বড় ফারাক রয়েছে। তাই না?
যে ব্যক্তি না খেয়ে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে, সে নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে বিবেচিত। আর যে খেয়ে-পরে মানুষের কাছে অভিযোগের ঝুড়ি তুলে ধরে, সে কখনো আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারে না; বরং আল্লাহর অনেক বড় অকৃতজ্ঞ বান্দা সে।
আর এসব বান্দার বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘এবং সেই সময়টিও স্মরণ করো, যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেছিলেন, তোমরা সত্যিকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে আমি তোমাদের আরো বেশি দেবো, আর যদি অকৃতজ্ঞতা করো, তবে জেনে রেখো; আমার শাস্তি অতি কঠিন’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৭)।
সুতরাং আমাদের যদি দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন গঠন করতে হয় অবশ্যই কৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবে বাঁচতে হবে। পরিতৃপ্ত মনের জীবনই দুশ্চিন্তাহীন জীবন।


আরো সংবাদ



premium cement