০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দৃষ্টিনন্দন মসজিদ জান্নাতুল ফেরদৌস

দৃষ্টিনন্দন মসজিদ জান্নাতুল ফেরদৌস -

সবুজ বনানী, পাহাড় আর চা-বাগানের অপরূপ দৃশ্য মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলকে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। বছরজুড়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এখানে। চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গলের যতগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে তন্মধ্যে পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদখ্যাত ‘মসজিদুল আউলিয়া খাজা শাহ মোজাম্মেল হক রহ. অন্যতম একটি।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ছয়-সাত কিলোমিটার দূরবর্তী বালিশিরা পাহাড়ের মোহাজিরাবাদ এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামে পরিচিত এ মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটি নিয়ে মানুষের আকর্ষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে এর স্থাপত্যশৈলী আর অবস্থান। তুর্কি নকশায় নির্মিত মসজিদটি দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য পর্যটক। প্রায় ১৯ বিঘা জমির ওপর নির্মিত জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ।
সমতল ভূমি থেকে ৭০-৮০ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত মসজিদটিতে যেতে হয় ১৩৯টি সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে। প্রায় ১৯ বিঘা জমির ওপর নির্মিত মসজিদের চারদিকেই রয়েছে সবুজ পাহাড়। আর এসব পাহাড়ে রয়েছে চোখ জুড়ানো সবুজের আবরণ। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে সবুজ চা-বাগানও। আরো রয়েছে লেবু ও আনারসের বাগান। মসজিদের উপরে উঠার সিঁড়িগুলোর দুই পাশে সাদা আর মধ্যখানে রয়েছে লাল রঙ। জানা যায়, সবুজ প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে সাদা আর লাল রঙের মিশ্রণে রাঙানো হয়েছে এসব সিঁড়ি।
দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদে একসাথে প্রায় ৮০০ জন লোকের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া মসজিদের পাশেই রাখা হয়েছে কবরস্থানের জায়গা। রয়েছে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের বিশ্রামের জন্য গেস্ট হাউজও। ভিআইপিদের আসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে হেলিপ্যাডের। গরিব ও অসহায় মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য রয়েছে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র। দর্শনীয় এ মসজিদটি নির্মাণ করেন খাজা টিপু সুলতান। টিপু সুলতান ছিলেন খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (রহ.)-এর সাহেবজাদা। এ খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (রহ.) আবার ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সুফিসাধক খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রহ.)-এর উত্তরসূরি।
যেভাবে যাবেন : বাস, ট্রেনে কিংবা অন্য যেকোনো যানবাহন দিয়ে দেশের যেকোনো স্থান থেকেই আসুন না কেন, প্রথমে আপনাকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরে আসতে হবে। অতঃপর শহর থেকে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সামনে আসতে হবে এবং তার বিপরীত রাস্তা দিয়ে যেতে পারেন। শহর থেকে যাওয়া-আসা ভাড়া প্রায় তিন থেকে চারশ’ টাকা। গ্র্যান্ড সুলতানের সামনে থেকে গেলে ভাড়া কিছু কম পড়বে। অটোরিকশা দিয়েও যেতে পারেন। শেষতক, চারপাশের মনোরম পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পৌঁছতে পারবেন আপনার কাক্সিক্ষত সেই জান্নাতুল ফেরদৌসে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল