৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ফিরতেও ভোগান্তি

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের ভিড় - ছবি : শাহেদ মতিউর রহমান

ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে যতটা বিড়ম্বনা ছিল, ঈদের পরে ঢাকায় ফিরতে ঠিক ততটাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ট্রেনের যাত্রীদের। আগের মতো ঈদের পরেও শত চেষ্টা করেও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এড়াতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তবে তারা বলছেন, ঈদের আগে ও পরে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকার কারনেই মূলত এই বিপত্তি ঘটে। আজকালের মধ্যেই যাত্রীদের চাপ কমে আসবে। তখন আর কোন সমস্যা থাকবে না।

এদিকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছেন নগরবাসী। গতকাল রোববার ছিল প্রথম কর্মদিবস। তাই রোববার ঢাকামূখী যাত্রীদের চাপ ছিল বেশি। অনেকে ঈদের ছুটির সাথে বাড়তি এক বা দু’দিন ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে এখন ঢাকায় ফিরছেন। আজ সোমবারও ছিল ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে আগামীতে ট্রেনের বিকল্প বাস কিংবা অন্য কোন পরিবহনের চিন্তার কথা জানিয়েছেন।

যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেকে ঠিক সময়ে এসে নির্ধারিত কাজে যোগ দিতে পারছেন না। অনেক যাত্রী ধারনা করেছেন ঈদের পর ফেরার পথে বেশি সময় লাগবে না; কিন্তু ঈদের আগে ও পরের অবস্থায় কোন পরিবর্তন হয়নি।

ট্রেনের এই শিডিউল বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমলাপুরের এক কর্মকর্তা জানান, ঈদের পরে গতকাল রোববার বেশি বিপর্যয় হয়েছে। এদিন পাঁচ ঘণ্টা দেরি করে বেলা ১১টায় ঢাকায় পৌঁছে রংপুর এক্সপ্রেস। আর আড়াই ঘণ্টার শিডিউল বিপর্যয়ে ছিল সুন্দরবন এক্সপ্রেসে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি একঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে পৌঁছায় এবং স্টেশন ছেড়ে যায় আরো আধঘণ্টা দেরিতে।

সোমবার রংপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর ৬টা ৫ মিনিটে স্টেশনে পৌঁছানো এবং ঢাকা থেকে সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করা ছিল; কিন্তু ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌছতে এবং ছেড়ে যেতে পারেনি। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানো এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৬টা ২০ মিনিট। এদিকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে পৌঁছানোর কথা ছিল। সবকটি ট্রেনেরই শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক জানান, কমলাপুর থেকে সারাদিনে ৬৯টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে আসবে এবং ৬৯টি ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। ভোর ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২টি ট্রেন বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, ১০/৫ মিনিটের এদিক ওদিক হওয়াটা তেমন কোনো বিষয় না। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যেতে থাকলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।


আরো সংবাদ



premium cement