৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন - ছবি : সংগৃহীত

ঈদ উৎসবের মাঝে রাজধানীর রমনা পার্কের রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মর্তুজা কবির মুরাদের 'রাগ আহীর ভৈরব' গানের মন্ত্রমুগ্ধকর বাঁশি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই সাংস্কৃতিক উৎসবের। দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনা, গান, আবৃত্তি ও অন্যান্য পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১১টি কোরাস গান ও ১৫টি এককসহ ৩১টি একক পরিবেশনা পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে সত্যম কুমার দেবনাথ, খায়রুল আনাম শাকিল, চন্দনা মজুমদার, তানিয়া মান্নান, রামেন্দু মজুমদার, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়সহ প্রখ্যাত শিল্পীরা প্রকৃতি, মানবপ্রেম, আত্মশুদ্ধি ও দেশপ্রেমের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি ১৪৩১ সনকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর প্রতিটি প্রান্ত থেকে দর্শকরা জড়ো হন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নতুন বছরের ভাষণ পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ড. সারওয়ার আলী। দলগত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে অনুষ্ঠানের।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেলে https://www.youtube.com/@ChhayanautDigitalPlatform অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং ১৩তম হুসার্স ওপেন রোভার স্কাউট গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ছায়ানটের স্বেচ্ছাসেবকরা অনুষ্ঠানস্থলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ২০২০-২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা বাংলাদেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম নিয়মিত সাংস্কৃতিক উদযাপন হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। সূত্র : ইউএনবি

 


আরো সংবাদ



premium cement