০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালয়েশিয়ায় আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ৫ হাজার বোতল জমজমের নকল পানি আটক

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় বিদেশী ফ্রেবিক সফটনার পণ্যের আড়ালে সৌদি আরবের আবে জমজম কূপের পবিত্র পানি জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার করার সময় আটক করেছে দেশটির কাস্টমস এর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ সময় একটি লরি থেকে পাঁচ হাজার প্লাস্টিক বোতলে ২৫ হাজার লিটার জমজমের পানি আটক করা হয়েছে। যার মূল্য মালয়েশিয়ান রিংগিতে প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন। বাংলাদেশী টাকায় এর মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকারও বেশি।

সোমবার দুপুরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাত ১১টার সময় দেশটির কেদাহ রাজ্যের একটি মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে এ পবিত্র পানি আটক করা হয়েছে। এ সময় ওই লরীর ড্রাইভার ও সহকারী চালককে আটক করা হয়েছে। তারা দু’জনই থাইল্যান্ডের নাগরিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় সৌদি আরবের আবে জমজম কূপের পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে আমদানি, বিক্রয় ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ এই পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে রফতানি করার অনুমতি দেয় না। তাই এই পানি নকল হতে পারে আসল জমজমের পানি নয়। তবে পবিত্র হজ্জ পালনকারীরা এই মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ পানি পান ও পরিবারের জন্য বহন করতে পারে। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মুসলিম রোজাদার মানুষের কাছে এই পানি চড়া মূল্যে বিক্রি করার জন্য এই চালান আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটির রয়্যাল মালয়েশিয়ান কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট (জেকেডিএম) এর তদন্তে জানা গেছে, ফ্যাব্রিক সফটনারযুক্ত বাক্স বোঝাই একটি কন্টেইনার লরিতে লাইসেন্সবিহীন জমজম পানির বোতল পাওয়া গেছে যা দেশে পাচার করার জন্য আনা হয়েছিল। পাচারকারীরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিতে বিশাল কন্টেইনার লরির পিছনের দরজার অংশে ফেব্রিক সফটনার লিকুইড প্যাকেট (যা কাপড় নরম ও ওয়াশে ব্যবহৃত তরল) দিয়ে জমজম পানির বোতলগুলোকে আড়াল করা হয়েছে। পুলিশ চেক করলে যেন বুঝতে পারে এই কন্টেইনার লরির ভেতরে ফ্রেব্রিক নরম ও ওয়াশ করার প্যাকেট শুধুই আছে।

কেদাহ জেকেডিএমের পরিচালক নর ইজাহ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘তার কর্মকর্তারা বুকিত কায়ু হিতাম ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, কোয়ারেন্টাইন অ্যান্ড সিকিউরিটি (আইসিকিউএস) পরিদর্শনের সময় দেখেন প্রত্যেকটি বোতলে ৫ লিটার করে পানি রয়েছে। কিন্তু এই পানি কি সত্যি ই সেই সৌদি আরবের আবে জমজম কূপের পবিত্র পানি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তদন্তের করার পর দেখা যায়, যে কনটেইনার লরিটি কাস্টমস ফর্ম ১ ব্যবহার করে ফ্যাব্রিক সফটনার বোতল হিসেবে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইসিকিউএস-এর মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে কাস্টমসের শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৭ এর ১৩৫ (১) (ক) এর ধারা অনুযায়ী মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগ গঠন করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement