৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আ মি ও ব ল তে চা ই

একটু ভেবে দেখুন

-


নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়াবেন না, তাতে সে কখনো ফিলই করবে না যে আপনিও খেতে ইচ্ছুক তবুও সে খাবে বলেই আপনি খেলেন না। বরং অর্ধেক আপনি খেয়ে বাকিটা তাকে দিন, সে বুঝুক আপনিও খাবারটা পছন্দ করেন। আপনি নিজের সামর্থ্যরে বাইরে গিয়ে সন্তানের চাওয়াকে প্রশ্রয় দেবেন না। তাতে সেও শিক্ষা নিক যে কতটা কষ্ট হয় জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে গেলে। ছেলে ব্যাগ কাঁধে নেয়ার বয়স হলে ব্যাগটা আপনার কাঁধে নেবেন না। কারণ সে কখনো বুঝতেই পারবে না বইয়ের ব্যাগটা নিতে ঠিক কতটা কষ্ট আপনি পেয়েছেন। সন্তানের মিথ্যা বলাটাকে হেসে উড়িয়ে দেবেন না। কারণ সে মিথ্যে বলায় এতটাই অভ্যস্ত হয়ে যাবে যে, এক সময় আপনাকে হাজারটা মিথ্যা বলতেও তার বুক কাঁপবে না। সময় পেলেই উপকারীর উপকারের গল্প শোনাবেন। তাহলে সেও একদিন আপনার ভালোবাসাকে স্বীকার করতে থাকবে।। আপনি কতটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বা করতে পারেন তা বুঝতে দেবেন। তাহলে দেখবেন সেও একদিন তার স্ত্রী সন্তানের কাছে আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সব সময়ই জীবনের সব পজেটিভ গল্প শোনাবেন। আপনার ছেলেমেয়েও হয়ে উঠবে পজেটিভ মনের। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য কেনো হতে হবে তাও শোনাবেন। দেখবেন সেও অনুগত হতে বাধ্য হবে ইনশা আল্লাহ। কথাগুলো বললাম এ জন্যই যে, আমরা মায়েরা আজকাল এতটাই যতœসহকারে সন্তাদের লালনপালন করি যে, ফার্মের মুরগিকেও হার মানে। এদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাইয়ে দিয়ে আমরা মায়েরাই তাদের ফেটি করে তুলি, যা তাদের পরবর্তী জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। আমরাই তাদের পরিশ্রম করতে দেই না। আমরাই তাকে মিথ্যা বলতে দেখলে হেসে বলি ছেলে আমার কত বুদ্ধিমান হয়েছে। আমরাই নিজের কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ছেলেমেয়েদের অলস বানাই। আমরাই নিজে না খেয়ে তাদের খাইয়ে স্বার্থপর করি। এই আমরাই ছেলেমেয়েদের কাছে অন্যের দোষগুলো বলে গিবত শিখাই। অকৃতজ্ঞ হতে শেখাই। আমরাই আল্লাহকে না মেনে তার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে সন্তানদের হায়ানা তৈরি করি। আবার সেই আমরাই বৃদ্ধাশ্রমে যাই। আল্লাহ সবাইকে বোঝার জানার ও মানার তৌফিক দান করুন।


আরো সংবাদ



premium cement