দিল্লি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়াল। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে টানা চার দিন উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় নিহত হয়েছে মোট ৫৩ জন। আহত দুই শতাধিক। গ্রেফতার প্রায় হাজার জন।
দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ পরে রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। রাজধানীর ওই সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, করে লাঠিচার্জও।
দিল্লি সহিংসতার ঘটনায় ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে’ দিল্লি হাইকোর্টকে শুক্রবার সমস্ত আর্জি গ্রহণ করতে বলেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি সহিংসতা সম্পর্কিত মামলার বিষয়ে আরো কিছুদিন সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে করা আবেদনসহ দিল্লিতে সহিংসতা সম্পর্কিত সমস্ত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই দিল্লির আদালতে শুনানি হওয়া উচিত।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বুধবার বলেন, ‘আমরা বিচারের স্বার্থে এই মামলাগুলো শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অধীনে মামলার তালিকাভুক্ত করার কথা বলছি ... আমাদের অনুরোধ, হাইকোর্ট এই মামলাগুলোর যতটা সম্ভব দ্রুততার সাথে সমাধান করুক।’
অপরদিকে, ভারতের সুনামে প্রভাব পড়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে বুধবার বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এদিন দলের নেতাদের নিয়ে সংঘর্ষকবলিত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যান কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়া এবং ৪৮ জনের মৃত্যু ও ২০০ জনের বেশি আহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে এই প্রথমবার উত্তর পূর্ব দিল্লি যায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। একটি সাদা বাসে সফরে যান কংগ্রেস সাংসদরা, উত্তর-পূর্ব সংঘর্ষ কবলিত বিভিন্ন এলাকায় বাসটি দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিজপুরিতে যে স্কুলটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে গিয়ে রাহুল গান্ধি বলেন, ‘এই স্কুলটি ভারতের ভবিষ্যত। হিংসা ও ঘৃণা একে শেষ করে দিয়েছে। এই সংঘর্ষে ভারতমাতার কোনো লাভ হয়নি। সবাইকে একসাথে কাজ করে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সূত্র : এনডিটিভি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা